মর্জিনা বেগম (৩৮) নামে এক মহিলা হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। এ ঘটনায় আবু জিহাদ মিয়া (৪৫) নামের এক জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেফতারকৃত আবু জিয়াদ মিয়া কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারি উপজেলার পুরব মাচবান্দা (পাত্রখাতা হাজিপাড়ার) বেলাল হোসেনের ছেলে। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সকালে আদমদীঘির মুরইল বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। দুপুরে আবু জিয়াদ আদমদীঘির জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে এই হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারামতে জবানবন্দীতে হত্যার দায় শিকার করেন বলে জানান মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা ওসি তদন্ত জিল্লুর রহমান জানান। তিনি আরো জানান, এই হত্যাকান্ডের পর বগুড়া পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বিপিএম-এর কৌশলগত দিক নির্দেশনায় আদমদীঘি সার্কেলের এএসপি নাজরান রউফ ও অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম বিভিন্ন সুত্রধরে এই হত্যাকান্ডের মুল নায়ক আবু জিয়াদ মিয়াকে গ্রেফতার করেন। এরপর আদালতে আবু জিহাদ তার জবান বন্দীতে জানায়, ঘটনার রাতে মর্জিনা বেগমকে অনৈতিক কাজে ব্যবহার করার পর ২শ টাকা দেয়। কিন্তু মর্জিনার দাবী ১৫০০টাকা। উক্ত টাকা না দিলে ভগ্নিপতি সালাউদ্দিনের নিকট ঘটনা ফাঁস করবে বলে মর্জিনা বেগম হুমকি দিলে আসামী আবু জিয়াদ মিয়া মর্জিনাকে টাকা দেয়ার নাম করে কৌশলে মুরইল ভাঙ্গা ব্রিজের উত্তর পাশে কোচপুকুরিয়া নিয়ে যায় এবং গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে স্বাশরোধে হত্য করে জমির কাদাতে মাথা পুতে রাখে বলে আদালতে স্বীকার করে। উল্লেখ্য, গত ২৭ জুলাই বুধবার দিবাগত রাতে আদমদীঘি উপজেলার নসরতপুর ইউপির সাওইল গ্রামের প্রতিবন্ধী আবুল কাশেমের তালাক প্রাপ্তা স্ত্রী মর্জিনা বেগমকে দুর্বৃত্তরা গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ আদমদীঘির মুরইল ভাঙ্গা ব্রিজের উত্তরে কোচপুকুরিয়া নামক স্থানে জমির কাদাতে ফেলে রেখে যায়। পরদিন ২৮ জুলাই বৃহস্পতিবার পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেন। এ ঘটনার নিহত মর্জিনা বেগমের ছেলে নাছিম বাদি হয়ে আদমদীঘি থানায় এজাহারে অজ্ঞাতনামা উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার আসামী জিয়াদ মিয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী দেয়া পর তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।