দৈনিক সত্যের খোঁজে আমরা
কিশোরকে অপহরণ করে মুক্তিপন দাবী করেন অপহরণকারীরা। এঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার পর ৫ জন অপহরণকারী কে পত্নীতলা থেকে আটক করেছে সাপাহার থানা পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে অপহৃত দুই কিশোরকে।
পুলিশ সূত্রে জানাযায়, বুধবার ৫ অক্টোবর বিকাল অনুমান সোয়া ৫ টার দিকে সাপাহার উপজেলা সদরের ওয়ালটন মোড় সংলগ্ন আদি ইসলামিয়া হোটেলের সামনে পাকা রাস্তার উপর হতে উপজেলার বৈকন্ঠপুর গ্রামের রমজান আলীর ছেলে মারুফ হোসেন (১৫) ও তার বন্ধু কলমুডাঙ্গা গ্রামের জাইবুর রহমানের ছেলে মোঃ মেহেদী হাসান (১৬) কে অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন অপহরণকারী একটি সাদা মাইক্রো যোগে তাদের চোখ বেঁধে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে অপহৃত মারুফের পিতার কাছে এক লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবি করে অপহরণকারীরা। তার ছেলের জীবনের কথা চিন্তা করে দুইটি মোবাইলে ৫ হাজার করে ১০ হাজার দেয় রমজান আলী। এবিষয়ে সাপাহার থানায় অভিযোগ করেন মারুফের পিতা রমজান আলী অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোঃ গাজিউর রহমান পিপিএম দের দিক নির্দেশনায় সাপাহার থানার পুলিশ টিম অভিযান পরিচালনা করে তথ্য প্রযুক্তি সহায়তায় বৃহস্পতিবার ৬ অক্টোবর রাত দেড়টার দিকে নজিপুর সরদারপাড়া মোড়ে একটি ভাড়াটিয়া বাসা হতে দুই কিশোর কে উদ্ধার সহ ৫ অপহরণকারী কে আটক করে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন পত্নীতলা উপজেলার হরিরামপুর কলেজ পাড়ার নওশাদ আলীর ছেলে মামুনুর রশিদ মামুন (৩০), নজিপুর পলি পাড়ার মেসবাউল হকের ছেলে আব্দুস সোবাহান খোকন (২৪), নজিপুর মাদ্রাসা পাড়ার আব্দুল কাদেরের ছেলে মাহমুদ হাসান সোহাগ (২৭), নওগাঁ সদর উপজেলার বক্তারপুরের মোরশেদ আলমের ছেলে নাহিদ হোসেন (২০), দিঘা গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম (২৯)।
সাপাহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আটককৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।