সর্বাবস্থায় পালনকর্তার স্মরণ অনিবার্য। জীবিত একটি অন্তর,ক্বলব সদাসর্বদা জিকিরে ব্যস্ত থাকে। স্বীয় মুর্শিদ তথা দীক্ষাগুরুর দীক্ষা অনুসরণে জিকরে ইলাহী জারি হয়ে যাওয়া অন্তর প্রতিটি মুহূর্ত কর্মব্যস্ত থাকে। পার্শ্ববর্তী শয়তান তখন অন্তরকে অসংখ্য কুমন্ত্রণা দিলেও জিকরে ইলাহীর ব্যস্ততায় তাকে কোনোরূপ প্রভাবান্বিত করার সুযোগ পায় না। ইলাহীর স্মরণে জীবিত অন্তর তথা ক্বলব কখনো অচেতন হয় না। এটি সর্বদা সচেতন অবস্থায় থাকে। যার দরুণ কোনোরূপ কুমন্ত্রণাই তাঁকে নেতিবাচক কর্মের দিকে আকৃষ্ট করতে পারে না। ঐশী প্রেম প্রেরণা ও জিকিরের চলমান আধিক্য ব্যক্তির অবস্থান উচ্চে নিয়ে যেতে থাকে। অবাধ্য নফছকে বশীভূত করে নেওয়ার অন্যতম মাধ্যম এটি। ঐশী প্রেরণার সম্মুখে তখন শয়তানের প্রভাব বিস্তার কোনোরূপ ভূমিকায় আসতে সক্ষম হয় না। সমস্ত নেতিবাচক প্রেরণা তথা শয়তানের কুমন্ত্রণা প্রদানের চেষ্টা নস্যাৎ হয়।