জুয়ার আসর ধ্বংস হচ্ছে যুবসমাজ।
মোঃ কামাল হোসেন,বিশেষ প্রতিনিধিঃ
যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া ছাগল হাট ও বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ঋষিপাড়াসহ উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে কয়েকটি স্পটে চলছে অবাধে জমজমাট তিন কার্ড জুয়ার আসর। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা একটি মহলের নেতৃত্বে অনৈতিকতার তিন কার্ডের জুয়া বোর্ড পরিচালনা করছে এলাকার কিছু শক্তিশালী সিন্ডিকেট। এখানে অভয়নগর উপজেলা ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলার জুয়াড়িরা খেলায় দিন-রাত বুদ হওয়ায় প্রতিদিন হাত বদল হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। জুয়ার আসরে খেলার পাশাপাশি আশেপাশের বিভিন্ন স্পটে চলছে নেশার রমরমা কারবার।
বাঘুটিয়া পুলিশ ক্যাম্প থেকে দুই কিলোমিটারের মধ্যে দীর্ঘ দিন থেকে দিন-রাত রমরমা জুয়া ও মাদকের আসর চললেও এটা বন্ধে কোনো ভূমিকা লক্ষ করা যায় না। তবে অভিযোগ রয়েছে, উপর মহলকে ম্যানেজ করেই চালাচ্ছে এ অনৈতিক কর্মকাণ্ড।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বিগত কয়েকবছর থেকে নওয়াপাড়া স্টেশন এলাকার একটি সংঘবদ্ধ চক্র জুয়া খেলায় মগ্ন থাকে তারা উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে এই জুয়ার সিন্ডিকেট পরিচালনা করে আসছে।
নওয়াপাড়া ছাগল হাটের পেছনে রেললাইনে ফাঁকা স্থান ও নওয়াপাড়া ফেরিঘাট ও ভৈরব নদের ওপার শংকরপাশা-সিংগেড়ির মাঝের অঞ্চল ঋষিপাড়া নামক স্থানে তিন তাস নামে চলে আসছে অবাধ জুয়া আসর। এলাকার উঠতি যুবক, আলোচিত জুয়াড়িরা এখানে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। দুর-দূরান্ত থেকে আসা জুয়াড়িরা এখানে লাখ লাখ টাকার হাত বদল করছে এবং প্রতিদিন এ চক্রের ফাঁদে পড়ে অনেকেই টাকা খুইয়ে হচ্ছেন নিঃস্ব। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা একটি সংঘবদ্ধ চক্র মিলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চালাচ্ছে নিষিদ্ধ জুয়ার আসর। এ জুয়াকে কেন্দ্র করে স্পটে নেশা গ্রহণ সমান তালে চলায় জুয়া ও মাদকের মোহে পড়ে অনেকে বসছেন পথে। চলমান জুয়া ও মাদকের আসর নিয়ে এ অঞ্চলের অভিভাবক ও তাদের পরিবার উদ্ধিগ্ন হয়ে পড়েছেন। সচেতন মহল জুয়ার আসর ও মাদক সেবনকারীদের দৌরাত্ম বন্ধে প্রশাসনের জরুরি পদক্ষেপ কামনা করেছেন। এবিষয়ে অভয়নগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ ওসি একেএম শামীম হাসান বলেন, জুয়ার সিন্ডিকেট এর সাথে যারা জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। কোন অবস্থায় মাদক ব্যবসায়ী অবৈধ জুয়া খেলার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের ছাড় দেয়া হবেনা।