মোঃ কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি
অভয়নগর উপজেলার ৭নং শুভরাড়া ইউনিয়নের হিদিয়া গ্রামে মরা গরু জবাই করে মাংস বিক্রির অভিযোগে ৫ ভাইসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে যশোরের বিঞ্জ জুডিশিয়াল অভয়নগর আদালতে মামলা একটি হয়েছে।মামলা নং সি আর ৪৬১/২২। ২৮শে জুন ২০২২ মঙ্গলবার অভয়নগরের হিদিয়া গ্রামের মৃত মোশারফ মোল্যার ছেলে জাকারিয়া মোল্যা বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ইমরান আহমেদ অভিযোগে টি আমলে গ্রহন করে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন অভয়নগর থানার ওসিকে।আসামিরা হলো, হিদিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ৫ ছেলে ফরহাদ মোল্যা, আজাদ মোল্যা, সাইফুল মোল্যা, বাবুল মোল্যা, রুহুল মোল্যা ও মৃত খোকা মোল্যার ছেলে খলিল মোল্যা।মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আসামির ফরহাদ মোল্যা একটি এড়ে গরু মোটাতাজা পদ্ধতি অবলম্বন করে বড় করেন। যার ওজন প্রায় সাড়ে ৩ মণ। গরুটির শারিরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় গত ১৭ জুন আসামিরা গরুটি বিক্রির জন্য নসিমনে নড়াইলের মাইজপাড়া হাটে নিয়ে যাবার জন্য রওনা হয়। পথিমধ্যে নড়াইলের মির্জাপুর বাজারের মুদি ব্যবসায়ী পলাশের দোকানের সামনে পৌঁছুলে গরুটি হঠৎ মারা যায়। আসামিরা মৃত গরু নিয়ে ফেরার পথে অভয়নগরের বাশুয়াড়ী গ্রামের উত্তরপাড়া বিলের মধ্যে ইকতার বিশ্বাসের বাড়ি থেকে একটি বটি এনে ফরহাদ নিজে জবাই করে। এরপর গ্রামের এসে মৃত গরুর মাংস বিক্রি করে। জাকারিয়া মোল্যা এ গরুর মাংস কিনে খেয়েছেন। পরে তিনি বিষয়টি জনতে পেরে আদালতে এ মামলা করেছেন। মামলার বাদি জানিয়েছেন তিনি নিজে ও মাংশ কিনেচেন।প্রতারনার মাধ্যমে মরা গরুর মাংশ বিক্রয় করায় তিনি এ মাসলা করেছেন। এবিষয়ে এলাকার একাধিক ভুক্তভুগীরা প্রতারক আসামীদের দৃষ্টান্ত শাস্তি দাবি করেছেন প্রশাসনের কাছে। স্থানীয় চম্পা বেগম জানিয়েছেন ইচ্ছা করে হারাম মাংস মুসলমানদের খাওয়ানোর জন্য এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। শুভরাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাওঃ জহুরুল হক জানালেন হিদিয়ার কিছুলোক তাকে মৌকিক ভাবে জানিয়ে তবে তারা অভয়নগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন, থানা কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে দেখছে বিষয়টি। অভিযোগ তদন্তকারি বাশুয়াড়ী পুলিশ ক্যাম্পের এ এস আই রিপন আহমেদ জানালেন অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে।তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানাবেন তিনি।