সবসময়ই দেখতে হয়। প্রতিদিন ঘুম থেকে বাসার নিচে নামতেই দুই-চারজন অসুস্থ লোকের সাথে দেখা হয়। কেউ পঙ্গু, কেউ ক্যান্সারে আক্রান্ত, আবার কেউ বিভিন্ন দুরারোগ্য ব্যধি…..। এ সকল দৃশ্য অবলোকন করলে নিজের চোঁখের জল এসে যায়। কোন অসহায় লোক আমার কাছে আসলে আমি চেষ্টা করি সর্বাত্বক সহযোগিতা করার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল, ইউনাইটেড হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কিংবা সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল সহ আরও কিছু হাসপাতাল আছে যেগুলোতে আমি গরীব ও অসহায় রোগীদের নিজ খরচে চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করি। রোগীদের ক্ষেত্রে আমি কখনোই কাউকে খালী হাতে ফিরিয়ে দেই না, যদি না সে আমার নির্বাচনী এলাকার বাহিরেও হয়। এমন শত শত লোকের চিকিৎসার ব্যয়ভার আমি নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছি।
আমি মনে করি, আমি একজন সাংসদ না হয়ে এদের মতো গরীব ও অসহায় হয়ে হয়তো পঙ্গুত্ববরণ করতেও তো পারতাম। হয়তো আমাকেও অসহায়ত্বের কারনে আজ অন্যের দুয়ারে গিয়ে কড়া নাড়তে হতো। সেখানে মহান আল্লাহর অশেষ কৃপায় জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার বদাণ্যতায় আমি আজ মহান জাতীয় সংসদের দু’বারের সদস্য।
আমি নিজ খরচে বহু লোককে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতাল সহ দেশের বাহিরে পাঠিয়ে ক্যান্সারে আক্রান্ত লোকের চিকিৎসা করিয়েছি। হাদিসে কুদসিতে বর্ণিত আছে: কেয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা বলবেন, ‘হে আমার বান্দা! আমি তোমার প্রভু। আমি অসুস্থ ছিলাম তুমি আমাকে দেখতে আসনি, তুমি আমাকে সাহায্য করনি।’ বান্দা বলবে, ‘হে প্রভু! আপনি বিশ্বজাহানের প্রতিপালক, আপনি অসুস্থ হতে পারেন না। তখন আল্লাহ তায়ালা বলবেন, আমার অমুক বান্দা অসুস্থ ছিল, তুমি তাকে দেখতে যাওনি, তুমি তাকে সেবা করনি। যদি তুমি তাকে দেখতে যেতে তাহলে তুমি সেখানে আমাকেই পেতে (সহিহ বোখারি শরীফ)।
তাই আমরা সকলে মিলেমিশে অসহায় লোকদের বিপদে-আপদে এগিয়ে আসব এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু।