আন্তর্জাতিক নিয়মে কোন দেশের আকাশ অন্য দেশের বানিজ্যিক বিমান ব্যবহার করলে অন্তত পাঁচশত ডলার দিতে হয় সেই দেশকে।

আন্তর্জাতিক নিয়মে কোন দেশের আকাশ অন্য দেশের বানিজ্যিক বিমান ব্যবহার করলে অন্তত পাঁচশত ডলার দিতে হয় সেই দেশকে।

দক্ষিন এশিয়ার একমাত্র বাংলাদেশের আকাশ ব্যাবহার করলে অন্তত ৯৫ ভাগ বানিজ্যিক বিমানকে বাংলাদেশকে কোন ডলার দিতে হয় না। বাংলাদেশের আকাশ ব্যাবহার করে কিন্তু চার্জ পায় ভারত। ভারতের রাডার থেকে সিগনাল রেজিস্ট্রার করা হয় তাই এইসব বিমান থেকে বাংলাদেশের আকাশ সীমা ব্যাবহারের সকল অর্থ পায় ভারত।

মুল কারন হল ,জিয়ার আমলে ১৯৮০ সালে শাহা জালাল বিমান বন্দরে একটি মাত্র রাডার বসানো হয় ও কমিশন করা হয়। এই একটি মাত্র রাডার দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের আকাশ পাহারা দেয়া হয়। ৪৪ বছরের পুরাতন রাডার যা অনেক বছর আগেই এক্সপায়ার হয়ে গেছে। এখনও বারবার মেরামত করে প্রথম প্রজন্মের এই রাডার ব্যবহার করতে হয়। এত পুরাতন রাডার দক্ষিন এশিয়ায় শুধুমাত্র বাংলাদেশই ব্যাবহার করে। যার কার্যক্ষমতা আন্তর্জাতিক মান দন্ডে প্রশ্নের মুখে বহুদিন থেকে।

মজার তথ্য হল হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে ২০১৭ সালে মানে ছয় বছর আগে চট্টগ্রামের জন্যে নতুন একটি ৪র্থ প্রজন্মের রাডার কেনা হয়। উক্ত রাডারটি ২০১৭ সালে স্থাপন করা হলেও এখন পর্যন্ত চালু করে কমিশন করা সম্ভব হয় নাই। ভারতের কারনেই এই রাডার সচল করা হচ্ছে না। রাডারটি বসানোর সময়েও ভারত আপত্তি জানায়। অথচ ভারত তাদের রাডার ব্যাবহার করে বাংলাদেশের আকাশ সীমা ভারা গুনছে আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাগুলো থেকে যার বার্ষিক আয়ের পরিমান প্রায় ১০০ কোটি ডলারর উপরে। এক ভারতকেই প্রতিদিন গড়ে একশোর উপর বিমান বাংলাদেশের আকাশ সীমা ব্যাবহার করে বিভিন্ন প্রদেশে যাতায়ত করতে হয়। অথচ ছয় বছর থেকে চট্টগ্রামের রাডারটি পরে থেকে মেয়াদ হারাচ্ছে প্রতিদিন।

চট্টগ্রামের রাডারটি চালু হলে ভারতের আয়ে ঘাটতি দেখা দিবে এইটা আগে চিন্তা করলে অন্তত ছয় বছর আগে এত টাকা দিয়ে রাডারটি কেনার প্রয়োজন ছিল না৷ ভারত মন খারাপ করবে বা ভারতের সুই সমতুল্য স্বার্থে লাগে এমন কাজ তো আর আমাদের পক্ষে সম্ভব না। দেশ জাহান্নামে যাক, বান্দে মাতারামই আসল চেতনা বাংলাদেশের….!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *