আমি কারাগারে বন্দী জীবনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও
বড়ো বড়ো নেতাদের খাবার তদা রুপ করছি বলে আমাকে আওয়ামী লীগের লোক বলা ঠিক নয়??
আমি বন্দী কারাগারে বড়ো বড়ো জামাত নেতাদের সাথে নামাজ আদায় করছি বলে আমাকে জামাতের লোক বলা ঠিক নয়??
আমি রাজবন্দিদের মতো ডিটেনশন নিয়ে কারাগারে অন্ধকার সেলে( ৩৬) মাস একা ছিলাম বলে আমাকে রাজনৈতিক লোক বলা ঠিক নয়।
আমি বন্দী কারাগারে বাংলাদেশের সকল বড়ো বড়ো বীর বন্দী দের সাথে চলাফেরা ছিল বলে আমাকে বীর বলা ঠিক নয়??
কারণ আমি জাতির বিবেক কলম সৈনিক সাংবাদিক, আমার কোন দল হতে পারেনা। আমাদের সাংবাদিক দের কাছে সবই সমান, আমরা জনাব মোর্শেদ সাহেব এর হাতে হাত রাখা সৈনিক কারো চামচামি করিনা।
,,,,,,,,, 👉🖋️✍️,,,,,, ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
,,,,,,🖋️✍️’ঈভটিজারদের হাতে খুন হওয়া সায়েদের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে একটি উদাহরণ তৈরী হতে পারে’
বাহাদুর চৌধুরী।
যৌন হয়রানি, ঈভটিজিং কিংবা উত্ত্যক্তকারী কিশোর গ্যাংদের কবল থেকে বোনের ইজ্জ্বত রক্ষা করতে গিয়ে প্রাণ হারালো এক যুবক। ঘটনাস্থল ফেনীর ছাগলনাইয়ায়। নিহত যুবকের নাম সায়েদ হোসেন (২২)। উত্ত্যক্তকারীরা ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ বোন সাথী সহ প্রত্যক্ষদর্শীদের।
শুক্রবার ৩০ /৬/২০২৩ ইং বিকেলে আপন ছোট বোন সাথীকে নিয়ে স্থানীয় পর্যটন স্পট বাঁশের কেল্লা নামক স্থানে ঘুরতে গেলে বখাটেরা পিছু নেয় তাদের। এতে সায়েদ বাধা দিলে হাতাহাতির এক পর্যায়ে ছুরিকাঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
নিহত সায়েদ ছাগলনাইয়া উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের পূর্ব জয়পুর গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে। যুবক সায়েদের “শাহাদাতবরণ” করার মধ্য দিয়ে দেশ থেকে ইভটিজিং, যৌন হয়রানি কিংবা উত্ত্যক্তকারীরা নিপাত যাক। সমাজের মেয়েরা নিরাপদে স্কুল-কলেজ কিংবা ঘোরাফেরায় নিরাপত্তা আসুক। দেশে একটি উদাহরণ তৈরী হোক। আর এই কাজটি প্রাথমিকভাবে বিচারের আওতায় আনার মাধ্যম হচ্ছে জোরদার পুলিশি ব্যবস্থা।
শোনা যাচ্ছে, ইতিমধ্যে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে কিংবা টাকার বিনিময়ে মীমাংসা করাতে একটি পক্ষ উঠে পড়ে লেগেছে। এই ঘটনাটি প্রভাবশালীদের মধ্যস্থতায় টাকার বিনিময়ে মীমাংসা হয়ে যায় তাহলে উদাহরণ সৃষ্টির কোন সুযোগ থাকলোনা। আমরা চাই পুলিশ দ্রুত আসামি গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের জন্য দ্রুত বিচার আইনে মামলাটি পরিচালনা করা হলে উদাহরণ সৃষ্টি হতে পারে। আশা করি বর্তমান সরকার ফেনীর ছাগলনাইয়ায় বোনের ইজ্জত রক্ষা করতে গিয়ে প্রাণ হারানো যুবক সায়েদের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার হোক। এই ঘটনাটির দৃষ্টান্তমূলক বিচার হলে খুব শীঘ্রই দেশের কোথাও এরকম ইভটিজারের হাতে আর কোন ভাইকে নিহত হতে হবে না কিংবা কোন বোনের স্কুল কলেজে যাওয়া আসা কিংবা ঈদে ঘুরতে যাওয়া নিরাপদ হবে। এটি দেশের সকল অভিভাবকেরই চাওয়া পাওয়া।
আমরা মনে করি, একটি এলাকার একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুষ্ঠু তদন্ত এবং সুবিচারের মাধ্যমে একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে পারে। ফলে দেশের কানায় কানায় গড়ে উঠতে পারে শান্তির কোলাহল। মানুষের মাঝে বিচারহীনতার ধ্যান ধারণা কিন্তু রয়েই গেছে। এ ধারণা থেকে দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীকে নজর ফেরানোর একমাত্র উপায় হচ্ছে বহুল আলোচিত,স্পর্শকাতর কোন ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং সেটি হতে হয় হবে দ্রুত সময়ের মাঝে।
দেশে অনেক আগে থেকেই বিচার ব্যবস্থায় দীর্ঘসূত্রিতা আমাদের সমাজের মাঝে বিরাট একটি অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউ কেউ বিচার ব্যবস্থায় দীর্ঘ সূত্রিতা কামনা করে ব্যবসায় রূপান্তর করে থাকেন। বিচার বিচারহীনতা কিংবা বিচার ব্যবস্থায় দীর্ঘ সুত্রিতা রাষ্ট্রের ওপর কলঙ্ক বর্তায়। ধীরে ধীরে এই কলঙ্ক আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপক সমালোচিত এবং ঘৃণিত হয়ে ওঠে। ফলে বহিঃবিশ্ব থেকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা হারাতে পারেন ওই রাষ্ট্র। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য রাষ্ট্রকেই ব্যবস্থা নিতে হয় তাৎক্ষণিক এবং উদাহরণ সৃষ্টি করতে হয় ।
ইভটিজিং কিংবা যৌন হয়রানী ও কিশোর গ্যাংয়ের কবলে পরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়গামী মেয়েরা শিক্ষা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছে, এরকম সংখ্যাও কিন্তু কম নয়। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে নারী শিক্ষার বিকল্প নেই। নারী শিক্ষাকে নিরাপদ রাখতে মেয়েদের অন্যতম সমস্যা হচ্ছে কিশোর বখাটেদের উৎপাত, যৌন হয়রানি বা ইভটিজিং। শিক্ষার্থীরা নিরাপদে স্কুল-কলেজে না যেতে পারার ফলে অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন অবস্থায় সময় কাটাতে হয়। ছোট ছোট মেয়েদের নিরাপদে স্কুলে পাঠাতে ভয় পান। ফলে পরিবারের কাউকে না কাউকে তার গাইড দিতে হয়। এর ফলে একজন অভিভাবক তার কর্মক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেন। আমরা চাই নিরাপদ একটি বাংলাদেশ। ঈভটিজারদের হাতে আর কোন মৃত্যু নয়; আর কোন হত্যা নয়। আমাদের মেয়েরা নিরাপদ থাকুক ওরা বড় হোক।