শানে গাউসুল আ'যম মাইজভাণ্ডারী।
(আয়নায়ে বারী শরীফ থেকে অনুবাদিত)
অঙ্কিত যার অন্তরে হয় মহব্বত গাউসুল আ'যমের,
হাশরে সে যোগ্য শফায়াতের গাউসুল আ'যমের।
প্রেমাস্পদ তিনি আল্লাহর তিনি যে মাহবুব নবীজির,
যাহা চায় আছে মঞ্জুর করার শক্তি গাউসুল আ'যমের।
তিনি সব অলির সরদার তিনি ইমাম যে সকলের,
আকাশে মর্যাদার তারা সুউজ্জল গাউসুল আ'যমের।
সকলের চাহিদা পুরায় সমস্যার দেন যে সমাধান,
পলকে বাসনা পুরাই মমতা গাউসুল আ'যমের।
তাঁর ভাণ্ডারের দ্বার হতে কে বঞ্চিতরে জগতে?
কার মাথার উপরে নাই? রহমতের ছায়া গাউসুল আ'যমের।
চুমু দেয় আস্তানার দ্বারে যে মানব-দানব সকলে,
সুমহান আরশের উর্ধ্বে যে ইজ্জত গাউসুল আ'যমের।
আলোময় সারা জাহান নূরানী চেহেরার সৌন্দর্যে,
হেদায়ত জ্যোতি ছড়ায় সদা বাতি গাউসুল আ'যমের।
মনোবাঞ্চা যে পূর্ণ হয় পলকে যে কারো দিকে,
মেহেরবাণীর টুকু দৃষ্টি যদি হয় গাউসুল আ'যমের।
হুকুম বরদার যে সকল অলি সে মহান হযরতের,
বেলায়তের ছায়া সবার বেলায়ত গাউসুল আ'যমের।
ভিখারী সারাটি জগত সে মহান দরবার শরীফের,
দুই জগত বেষ্টিত যে বাদশাহী গাউসুল আ'যমের।
সুমহান শান তাঁহার কেমন করে বুঝবে জগতে,
উভয় জগতের যে শেষ তা যে শুরু গাউসুল আ'যমের।
যদিও ভিখারী মকবুল হয় সে বাদশা হবে,
কৃপা দৃষ্টির দান মঞ্জুর যদি হয় গাউসুল আ'যমের।