পোস্টে দেখলাম যে, একজন মাদ্রাসার ছাত্রীর পা’ চাকার নীচে আটকে পড়লে সে বা তাঁর অভিভাবক বললেন দরকার হলে ‘ পা’ কেটে ফেলা হোক ! তবুও যেনো পর্দা না খোলা হয় !” এতে অনেকে বাহবা দিচ্ছে এবং প্রশংসা করছে ! এ কাহিনী সত্য কি মিথ্যা জানিনা !
*** যদি কাহিনীটি সত্য হয়ে থাকে, তা’হলে আমাকে বলতে হয় যে, ঐ মেয়েটির জন্য মাদ্রাসায় পড়াটা সম্পূর্ণ বেকার ! সময় নষ্ট ছাড়া আর কিছুই ছিলোনা ! আর যারা বাহবা দিচ্ছেন, তাঁরা শরিয়তের ইল্ম সম্পর্কে সম্পূর্ণ বোকা ও নির্বোধ !
*** পর্দা রক্ষার্থে যদি পা’ কাটতে হয়, তা’হলে কোনটির গুরুত্ব অধিক ? পা বাঁচানো নাকি পর্দা রক্ষা করা ? পা’ বাঁচানো হলো সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ । এ জায়গায় পর্দা রক্ষা করা নয় । মনে রাখবেন যে, সন্তান ডেলিভারীর ক্ষেত্রে যদি মহিলা ডাক্তার না পাওয়া যায়, পুরুষ ডাক্তার দিয়ে হলেও সন্তান ডেলিভারী সফল করতে হবে । এটাই ফতওয়া এবং এটাই বাস্তবতা ।
আরো মনে রাখবেন যে, হালাল খাবার না পাওয়া অবস্থায় হারাম খাবার গ্রহণ করা শতভাগ বৈধ ।
সূরা আল্ বাক্বারা ১৭৩
*** দলীল বিহীন মনগড়া আবেগের ভিত্তিতে ফতওয়া ও পোস্ট দেয়া থেকে আমরা যেনো বিরত থাকি ।
و ما توفيقي الا بالله