আলী আজম মুকুল-কে হত্যার হুমকি মামলায় আসামি আলাউদ্দিন সরদারকে অবশেষে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
৬ জুলাই, বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানী ঢাকার কদমতলী থানা এলাকায় তার ভাড়াটিয়া বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রাতেই তাকে ভোলার বোরহানউদ্দিন থানায় নিয়ে আসা হয়।
এদিকে তাকে গ্রেফতারের পর তার ছেলে রোহান ফেসবুক লাইভে এসে জানান, তার বাবা আলাউদ্দিন সরদারের বিরুদ্ধে কোনো মামলার ওয়ারেন্ট নেই। তার বাবা প্রতিটি মামলায় জামিনে আছেন। এরপরও পুলিশ কী কারনে তাকে গ্রেফতার করেছে তা তারা জানেনা।
লাইভে রোহান দাবি করেন, পুলিশ তার বাবাকে গ্রেফতার করে মারধর করেছে এবং বাসা তল্লাশি করে সবকিছু এলোমেলো করেছে। তার বাবাকে কোন মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে? এমন প্রশ্নে পুলিশ তার দিকে তেঁড়ে আসে। এমপি আলী আজম মুকুল ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার বাবাকে পুলিশ দিয়ে ধরে নিয়ে গেছে, এমন দাবি করেন রোহান। এ সময় তিনি এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
আলাউদ্দিন বোরহানউদ্দিন উপজেলার পক্ষিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি (বহিষ্কৃত)।
উল্লেখ্য যে, গত ৩ জুন আমেরিকা প্রবাসী জনৈক আবুল কালাম আজাদ এক সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলার সময় আলী আজম মুকুলকে হত্যার হুমকি দেয় এই আসামি। তার হুমকির সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ৩১ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে আলাউদ্দিনকে বলতে শোনা যায়, "ইনশাআল্লাহ আমি দাঁড়াব, এরপর যদি এমপি আলী আজম মুকুল কিছু করে, তাহলে আমি আপনাকে বলে রাখি, প্রকাশ্যে আমিই এমপি আলী আজমকে মেরে ফেলবো, আমি একাই তাকে মেরে ফেলবো, কাউকে লাগবে না"।
এ ঘটনায় নির্বাচনী এলাকা ভোলা ২ (বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখানে) নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তার কুশপুত্তলিকা দাহ করার পাশাপাশি একাধিকবার বিক্ষোভ মিছিল করে স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও তার সহযোগী সংগঠন। ঘটনার পর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি হাসান মুন্না বাদী হয়ে আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে বোরহানউদ্দিন থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
শুক্রবার, ৭ জুলাই বিকেলে বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন মিঞা গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্ত আলাউদ্দিন সরদার একটি মামলায় জামিনে আছেন। তার বিরুদ্ধে আরও দুইটি চাঁদাবাজি মামলা রয়েছে। সেসব মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।