আরশাদ মামুন : মাত্র কয়েক মাস আগের কথা। তখন হারিকেন আর কুপিবাতিই ছিল বেদে পল্লীর মানুষদের আলোর একমাত্র ভরসা। বর্তমানে ওই বেদে পল্লী আলোকিত হয়েছে বিদ্যুতের আলোয়। এতে করে বদলে গেছে ভোলার লালমোহনের ২০ টি বেদে পরিবারের জীবনমান। সম্প্রতি বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়ে খুশি লালমোহন পল্লীবিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন খাস জমিতে বাস করা এসব বেদে পরিবারের মানুষজন। যেখানে ২০ টি পরিবারে অন্তত একশত জন মানুষ বাস করছেন।
বেদে পল্লীর বাসিন্দা সোহেল, জাকির, পিয়ারা ও মাইনুর বেগম বলেন, বহু বছর ধরে এই স্থানে আমরা বাস করছি। কিন্তু তখন আমাদের ঘরে বিদ্যুৎ ছিল না। যার জন্য হারিকেন বা কুপির আলোতে রাত্রিযাপন করতে হতো। তবে গত মাসখানেক আগে এমপি শাওন স্যারের উদ্যোগে আমাদের ঘরগুলোতে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে। এতে করে বর্তমানে আমাদের আর অন্ধকারে থাকতে হচ্ছে না। আমাদের ছেলে-মেয়েরাও এখন বিদ্যুতের আলোয় লেখাপড়া করতে পারছে। আবার ঘরে বিদ্যুৎ থাকায় টিভির মাধ্যমে মুহূর্তেই দেশের সকল পরিস্থিতি জানতে পারছি। এই বিদ্যুতের জন্য বদলে গেছে আমাদের এই বেদে পল্লীর চিত্র। যার জন্য আমরা অনেক খুশি।
এব্যাপারে লালমোহন পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) একেএম ফজলুল হক জানান, দীর্ঘদিন ধরে এসব বেদেরা বিদ্যুৎ সুবিধার বাহিরে ছিল। সম্প্রতি এমপি নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন মহোদয়ের উদ্যোগে বেদে পরিবারগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে বেদে পরিবারগুলো বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয়েছে।
ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন বলেন, সমাজের পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে শেখ হাসিনা সরকার। তারই ধারাবাহিকতা ও ঘরে ঘরে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ পৌছে দেয়ার অঙ্গিকার বাস্তবায়নের লক্ষে লালমোহনের বেদে পল্লীর প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। এতে করে এসব বেদে পরিবারে আমূল পরিবর্তন হবে বলে মনে করছি।