খাতুন (৮) নামে দ্বিতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার ( ৮ আগস্ট) রাত আনুমানিক ১১ টার সময় উপজেলার প্রেমবাগ ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে ধলিয়ার বিলে মোসলেম উদ্দিনের পরিত্যাক্ত ডোবার কচুরিপানার ভেতর থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মনিরুল বিশ্বাসের মেয়ে নিহত নাঈমা খাতুন বালিয়াডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রতিবেশী আমজাদ নামে এক ব্যক্তি নাঈমাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে গুম করার উদ্দেশ্যে পরিত্যাক্ত ডোবার কচুরিপানার ভেতরে লাশ লুকিয়ে রাখে। পুলিশ বলছে, মৃত্যুর কারণ পরিস্কার নয়, ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে। আমজাদ (৪০) নামে একজন মৎস্য ঘের কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় তলব করা হয়েছে।
নিহত নাঈমার মা মর্জিনা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ে প্রতিবেশী মৃত কোরেশ মোল্যা ছেলে মৎস্য ঘের কর্মচারী আমজাদকে বন্ধু বলে ডাকত। রবিবার বিকালে মেয়ে আমার বন্ধু আমজাদের মৎস্য ঘেরে খেলা করতে যাচ্ছে বলে বেরিয়ে যায়। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে না আসলে আমরা খোঁজাখুঁজি শুরু করি। এক পর্যায়ে আমজাদের কাছে নাঈমার খবর জানতে চাইলে সে বলে আমি কিছু যানি না। অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাত আনুমানিক ১১ টার সময় আমজাদের মৎস্য ঘেরের পাশে মোসলেম উদ্দিনের ডোবার কচুরিপানার ভেতরে নাঈমার একটি হাত দেখা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। আমার একমাত্র মেয়েকে প্রথমে ধর্ষণ করা হয়েছে। পরে খুন করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে কচুরিপানার ভেতর লুকিয়ে রাখা হয়েছে। আমজাদকে রাতে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। ও আমার মেয়েকে খুন করেছে।’ অপরদিকে নিহতের বাবা মনিরুল বিশ্বাস ও এলাকাবাসী আমজাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ ফাঁসি দাবি করেন।