দিনাজপুর প্রতিনিধি
মোঃওয়াজ কুরনী
দিনাজপুরের হিলিতে পাকিস্তানি মুরগির দাম কমেছে কেজিতে ৪০ টাকা। বিপরীতে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ২০ টাকা । গেলো সপ্তাহে বুধবার (১৪ আগস্ট) প্রতিকেজি পাকিস্তানি মুরগি ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকা কেজি দরে। আর ২১ আগস্ট (বুধবার) প্রতিকেজি পাকিস্তানি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা দরে। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা কেজি দরে।
বুধবার (২১ আগস্ট) কথা হয় ব্রয়লার মুরগি কিনতে আসা মো. রফিকুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি প্রতি সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি কিনি। কিন্তু সেই ব্রয়লার মুরগির দামও কেজিতে ২০ টাকা করে বেড়েছে। গত বুধবার প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকা দরে কিনেছি। আর আজ কিনতে হলো ১৭০ টাকা কেজি দরে।’
রফিকুল ইসলাম আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমাদের মতো মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের ছেলে-মেয়ের মুখে মাংস তুলে দেওয়া কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
আরেক ক্রেতা মো. আতিকুর রহমান বলেন, ‘আমি কখনো দেশি, কখনো পাকিস্তানি মুরগি কিনি। দেশি মুরগির দাম যা ছিল। তাই আছে। আগেও ৪২০ টাকা কেজি ছিল। এখনো তাই আছে।’
আতিকুর রহমান আরও বলেন, ‘তবে পাকিস্তানি মুরগির দাম কেজিতে ৪০ টাকা কমেছে। গত সপ্তাহে ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এখন ৪০ টাকা কমে সপ্তাহে ২৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তাই আজ পাকিস্তানি মুরগি কিনলাম।’
হিলি বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. বাবু হোসেন বলেন, ‘ব্যবসা ভালো যাচ্ছে না। কখন কোন মুরগির দাম বাড়ে আর কখন কমে বলা মুশকিল। গত বুধবার প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৩৫ টাকা কেজি দরে কিনে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি করি। আর এই সপ্তাহে ১৫৫ টাকা কেজি দরে কিনে ১৭০ টাকা দরে বিক্রি করছি। আর পাকিস্তানি মুরগি ২২০ টাকা কেজি দরে কিনে ২৪০ টাকা দরে বিক্রি করছি। যা গত সপ্তাহে ২৮০ টাকা দরে বিক্রি করেছি।’
বাবু হোসেন আরও বলেন, ‘আমরা পাইকারি দরে মুরগি কেনার পর একদিনে তো সব মুরগি বিক্রি হয় না। মুরগিকে খাবার দিতে হয়। তাই কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা লাভ রেখে বিক্রি করতে হয়।’