দৈনিক সত্যের খোঁজে আমরা
মোঃ শাহাব উদ্দিন আহমেদ মৌলভীবাজার কমলগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
টাকা তার স্ত্রীর সহযোগিতায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন জোরপূর্বক নিয়ে যান বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আদালতে মামলা করলে মামলার আসামিরা মামলা তুলে নিতে বাদী শাহীনকে হুমকি দিলে নিজের নিরাপত্তা চেয়ে তিনি কমলগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
জানা যায়, কমলগঞ্জের উত্তরভাগ গ্রামের ছালিম মিয়ার ১৫ শতক জমি কিনতে চান শাহীন মিয়া। তিনি ওই জমি ১৮ লাখ টাকা দাম সাব্যস্ত করে ৫ লাখ টাকা বায়না দিতে ছালিমকে গত ২৭শে সেপ্টেম্বর দুপুরে তার বাড়িতে ডাকেন। এর আগে পাওনা টাকা ও ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে নগদ ৫ লাখ টাকা বাড়িতে নিজ হেফাজতে রাখেন শাহীন। জমির বায়না দেয়ার খবর পেয়ে বাপের বাড়িতে থাকা তার স্ত্রী সেলিনা বেগম তার বাবা, মা ও ভাইকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে ফিরে এসে জমি ক্রয়ে আপত্তি জানান। শাহীন তার স্ত্রী ও শ্বশুর-শাশুড়ি এবং শালার কথা না শুনে জমির বায়না টাকা দিতে চাইলে জমির মালিকের সামনেই তার শালা, শ্বশুর-শাশুড়ি ও স্ত্রী মিলে বসতঘরের ওয়ারড্রবে রক্ষিত ৫ লাখ টাকা জোরপূর্বক নিয়ে চলে যান। শাহীন মিয়ার বসতঘরের পাশেই তার শ্বশুরবাড়ি। বিকালে তিনি ওই টাকাগুলো আনতে শ্বশুরবাড়িতে গেলে টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে তার স্ত্রী তখন শাহীন কে তালাক দিতে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন চাপ দেন স্ত্রী কে।তাতে তিনি রাজি না হলে তার বিরুদ্ধে মামলার হুমকি দেয়া হয়।পরে এসব ঘটনায় পরদিন ২৮শে সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩ নং আমলি আদালতে তিনি তার শালা শামীম মিয়াকে প্রধান আসামি করে ৪ জনের বিরুদ্ধে কোর্ট পিটিশন মামলা করেন আদালতে মামলা করার খবরে ক্ষুব্ধ হন মামলার প্রধান আসামিসহ তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। মামলার আসামিরা মামলা তুলে নিতে মামলার বাদী শাহীনকে হুমকি দিচ্ছেন। অব্যাহত হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন মামলার বাদী। ফলে নিজের নিরাপত্তা চেয়ে গত ৩০শে সেপ্টেম্বর রাতে কমলগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন শাহীন মিয়া।
এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে অভিযুক্ত শামীম মিয়ার মুঠোফোনের এই নাম্বারে (01763783718)কল দিলে তার বোন ফোনটি রিসিভ করেন বলেন এবিষয়ে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি নয় বলে ফোন কেটে দেন।