কলকাতায় এক কেজি গরুর গোশতের দাম ২২০ রুপি বা বাংলাদেশী টাকায় ২৯০ টাকা। তার ৩০০

কলকাতায় এক কেজি গরুর গোশতের দাম ২২০ রুপি বা বাংলাদেশী টাকায় ২৯০ টাকা। তার ৩০০

কিলোমিটার দূরে ঢাকায় সেই গরুর গোশত বিক্রী হয় ৮০০ টাকা কেজিতে এমনকি মাত্র ১২৭ কি: মি: দূরেও সেই গোশতের কেজি ৬০০ টাকা।
ব্যার্থ রাষ্ট্র পাকিস্তানে গরুর গোস্ত পাওয়া যায় ৬০০ রুপিতে যা কিনা বাংলাদেশী ২৩০ টাকার সমান। প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপালে প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম ০.৭৬ ইউএস ডলার মানে ৮০ টাকা, ভুটানে ১৬০ নুল বা ২০৭ টাকা, শ্রীলংকায় ১০.১১ ইউএসডলার বা ১০৬১ টাকা, মিয়ানমারে ৫.৬৬ ইউএস ডলার বা ৫৬৭ টাকা।
মোটামুটি দেখা যায় গরুকে সমুদ্র পাড়ি দেওয়া বাদে স্থল ভাগে দক্ষিণ এশিয়ার সমস্ত প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে বাংলাদেশে গরুর গোস্তের দাম সবচেয়ে বেশি।
এখন তো আপনারা বলবেন, এই দেশ মুসলমানদের দেশ , গরুর গোশত খায় বেশি, তাই দাম ও বেশি।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গরুর গোশত খাওয়ার তালিকায় ভারতের অবস্থান ৫ম, ২০২২ সালে সেখানে গরুর গোশত খাওয়া হয়েছে ২৯ লক্ষ মেট্রিক টন।
এই তালিকায় পাকিস্তান আছে ৮ম অবস্থানে ২০২০ এ ওরা ১৭.৫ লক্ষ্য মেট্রিক টন গরুর গোশত খেয়েছে।
চিটাগাং এর লোকেরা এতো গরু খেয়েও বাংলাদেশকে বিশ্বের প্রথম ৪৬টি গরু খাওয়ার দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পারে নাই।
নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা ও মায়ানমারের মানুষের গরু খাওয়ার তুলনার ডাটা নিয়ে কাজ করে নিজেকে আর কলুর বলদ বানানোর ইচ্ছে নাই।
অদ্ভুত, ব্যাপার হচ্ছে এই দেশের মানুষের গরু গোশত খাওয়ার তেমন কোন রেকর্ড খুঁজে পেলাম না কোথাও !!!
যেটা পেলাম গত বছর কোরবানি ঈদে প্রায় ৪৬ লক্ষ্য গরু ও মহিষ বিক্রী হইছে। তার মধ্যে ধরে নিলাম ৩০ লক্ষ্য গরু বিক্রী হইছে। প্রত্যেক গরু গড়ে ৩মণ অর্থাৎ ১২০ কেজি করে গোশত ধরলেও ৩.৫ লাখ মেট্রিক টনের উপরে উঠেনা। আমরা জানি আমাদের দেশের মানুষ কোরবানী ঈদের সময় যে গোশত পায় তাই বছরের মূল গরুর গোস্তের যোগান।
আমি যদি এই সারা বছর গরু খাওয়ার হিসেব এর ডাবলও ধরি তাও তা ৭ লক্ষ মেট্রিক টন ছাড়ায় না !!!
হজ্ব নিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় আর বিমান মন্ত্রণালয়ের অদ্ভূত হিসেব ইতিমধ্যেই সবাইর জানা হয়ে গেছে। আজকে গরুর গোশততে হাত দিয়েও এই অদ নামের ভূতটারে পাইলাম।
অনেক হুজুর বয়ানে পরামর্শ দেয় এই মুসলামান দেশ ছাইড়া বিদেশে অমুসলিম দেশে পাড়ি দেওয়া ঈমানের জন্য ঝুঁকিপূর্ন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *