কহিনুর পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।।
পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য দেওয়া নৌ-এ্যাম্বুলেন্সটি আন্ধারমানিক নদীর তীরে হ্যালির্পোট পয়েন্টে অচল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ২০১৮ সালের কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেকে একটি নৌ-এ্যাম্বুলেন্স উপহার দেওয়া হয়. অথচ এ্যাম্বুলেন্সের জন্য স্থায়ীভাবে কোন চালক নিয়োগ করা হয়নি। এসব কারণে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষই এ নৌ-এ্যাম্বুলেন্স পরিচালনায় আগ্রহী নয়। সাধারণ মানুষও তাই কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছে না। এ পর্যন্ত সেটিতে একজন রোগীও বহন করা হয়নি। কলাপাড়ার বিভিন্ন গ্রাম থেকে ঝুঁকি নিয়ে নৌকা, লঞ্চ, ট্রলার, ভ্যানে করে হাসপাতালে যেতে কষ্ট হয় রোগীদের। কলাপাড়ায় উন্নত সেবা ব্যবস্থাসহ গর্ববর্তী মহিলাদের সেবা নিশ্চিতের জন্য প্রধানমন্ত্রী উপহার দেন নৌ-এ্যাম্বুলেন্স।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, এ নৌ-এ্যাম্বুলেন্সটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। নৌ-এ্যাম্বুলেন্সটি চালাতে কোনো নীতিমালা করা হয়নি, তৈরি করা হয়নি কোন চালকের পদ। তাই এ নৌ-এ্যাম্বুলেন্সটি রোগী পরিবহনে কোনো ভূমিকা রাখেনি। দুর্গম ও চরাঞ্চলের মানুষকে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার লক্ষ্যে নৌ-এ্যাম্বুলেন্স বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নৌপথে রোগী পরিবহনের এ যানের সেবা কেউ পায়নি। যথাযথ পরিকল্পনা ছাড়া এ প্রকল্প হাতে নেওয়ায় শুধুই অর্থের অপচয় হয়েছে বলে মনে করেন স্থানীয়রা। এ নৌ-এ্যাম্বুলেন্সটি দেয়ায় সহযোগিতা করেছিলো কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার (সিবিএইচসি) স্বাস্থ্য অধিদপতরের স্বাস্থ্য বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয়। উদ্দেশ্য ছিলো কলাপাড়ার ১২টি ইউনিয়ন ও পাশ্চবর্তী রাঙ্গাবালী পাঁচটি মোট ১৭টি ইউনিয়নের রোগীদের পরিবহনে এটি ব্যবহৃত হবে।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উদ্বোধনের এক বছরের মধ্যে তলায় ফুটো হয়ে অচল অবস্থায় পড়ে রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেকে দেওয়া এ নৌ-এ্যাম্বুলেন্সটি। ব্যবহার না হওয়ায় এরই মধ্যে অ্যাম্বুলেন্সটির ইঞ্জিন অকেজো হয়ে গেছে। এটি এখন কলাপাড়ার আন্ধারমানিক নদীর পানিতে তলিয়ে রয়েছে। তবে ভাটার সময় কিছুটা জেগে ওঠে। ব্যবহার না হওয়ায় খুলে রাখা হয়েছে ইঞ্জিন। এর অবকাঠামোগত অবস্থাও জরাজীর্ণ। বিকল হওয়ার পর আর ঠিক করা হয়নি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নৌ-এ্যাম্বুলেন্সটি, তাই এলাকাবাসীর কোনো কাজেও আসেনি। দীর্ঘদিন অব্যবহৃত থাকতে থাকতে এটি এখন নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে।
রবি শস্য চাষী দবির উদ্দিন জানান, কলাপাড়ার অধিকাংশ এলাকার মানুষ জানেনই না তাঁদের এলাকায় রোগী পরিবহনের জন্য হাসপাতালে একটি নৌ-এ্যাম্বুলেন্স রয়েছে, অথচ সেটি এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিন্ময় হাওলাদার বলেন, শুরু থেকেই এ এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে স্থানীয় মানুষজনের মধ্যে কোনো আগ্রহ দেখা যায়নি। এ কারণে এটিকে ফেরত নেওয়ার জন্য আমরা স্বাস্থ্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কয়েকবার চিঠি লিখেছি। এটি এখন ব্যবহার যোগ্য নয়, তবে এর চেয়ে দ্রুত গতিতে গাড়ী পথে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা যায়। এলাকার সব জায়গায় যোগাযোগ ব্যবস্থা আগের চাইতে অনেক উন্নত এবং ভাল