মাটি মামুন রংপুর।
সারা দেশে জেলা উপজেলা মহিলা ও পুরুষ প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে,
যারা আগ্রহী যোগাযোগ 01714348197
দৈনিক সত্যের খোঁজে আমরা
যেতে বসেছে লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ থানা ধিন মতিহাজারী হিন্দু পাড়া এলাকা থেকে বাঁশ শিল্প।
প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণ, পরিচর্যা, রোপণ ও সঠিক পরিকল্পনার অভাবে লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ থেকে বাঁশ ও বেত ঝাড় উজাড় হয়ে যাচ্ছে।
ফলে এলাকা থেকে বাঁশ-বেতনির্ভর শিল্প হারিয়ে যেতে বসেছে।
এক সময় গ্রামের হাটবাজারগুলোতে নানান ধরনের বাঁশের তৈরি শিল্প বিক্রি হতো।
যেমন কুলা, ডালা, টুপরি, কুড়ি চালুন, তালাই টেমাই, জোলঙ্গাসহ মাছ ধরার বিভিন্ন সামগ্রী, মই, খেলনা ও বিভিন্ন শৌখিন দ্রব্যসামগ্রী।
এছাড়া এলাকায় কাঁচা ঘর তৈরিতে বাঁশের খুঁটি, বেড়া, ঘরের দরজা ইত্যাদি উপকরণ দরকার হয়।
আর বেত দিয়ে তৈরি হয় ঢাকি, কাটা, দাঁড়িপাল্লা, ছোট ছেলেমেয়েদের বিভিন্ন খেলনাসামগ্রী।
আধুনিকের ছোঁয়ায় এ শিল্প এখন বিলুপ্তর পথে।
গ্রামের হাটবাজারগুলোতে বাঁশের তৈরি শিল্প আগের মতো চোখে আর পড়ে না।
এ শিল্পের সাথে জড়িত থাকা পরিবারগুলো এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে।
কথা বলছিলাম গতকাল ২ আগস্ট বুধবার লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ থানা ধিন মতিহাজারী হিন্দু পাড়া এলাকার বাঁশ শিল্পর কারিগর ফুলোবালার সাথে।
তিনি বলেন তার বাপ দাদার এই ঐতিহ্য বাঁশ শিল্প কে ধরে রেখেছেন যদিও এখন আর আগের মতো লাভ নেই প্রতিদিন ৬থেকে ৮ তৈরি করতে পারেন।
এবং পাইকের দের কাছে কুলা, ডালা, টুপরি বিক্রি করছেন ৬০ টাকা এবং খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা করে।
তিনি বলেন,সরকারিভাবে কোনো সাহায্যে সহযোগিতাও পাচ্ছি না।
তিনি আরো বলেন, অনেক দুঃখ-কষ্টে দিন কাটছে আমাদের।
অভাবের তাড়নায় গোত্রের অনেকেই অন্য পেশায় চলে গেছে।
উপযুক্ত কাজ এবং অভিজ্ঞতার অভাবে আমরা অন্য পেশায় যেতে পারিনি।
এক সময় বিস্তীর্ণ পল্লীতে বাঁশ ও বেত ঝাড় থাকায় বাঁশের তৈরি শিল্পের প্রচুর ব্যবহার ছিল।
এই বাঁশ-বেতের ওপর নির্ভর করে প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জে বাঁশের তৈরি শিল্পরও প্রচুর চাহিদা ছিল।
কিন্তু আগের মতো বাঁশ ঝাড় বেত ঝাড় এখন আর চোখে পড়ে না।
এর দুষ্প্রাপ্যতার কারণে একদিকে যেমন গ্রামীণ অর্থনীতির চালিকা শক্তি কুটির শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তেমনি নিঃস্ব হচ্ছে সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী পরিবারগুলো।।
লালমনিরহাট ঘুরে এসে জানাচ্ছি আমি মাটি মামুন।