সত্যের খোঁজে আমরা
এম রাসেল সরকার:
দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জে চাঞ্চল্যকর পরকীয়ার জেরে স্ত্রী কর্তৃক স্বামী হত্যা মামলার পলাতক আসামি উর্মি আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১০।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে র্যাব-১০ থেকে জানানো হয়, বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার কদমতলী এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে উর্মি আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যাকাণ্ডের শিকার মারুফের স্ত্রী ও গ্রেপ্তারকৃত উর্মির সঙ্গে ইমরানের দীর্ঘদিনের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। তারা একে অপরকে লুকিয়ে বিয়ে করার জন্য চেষ্টা করে। এতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় মারুফ। বাধাকে সরিয়ে ফেলার জন্য উর্মি ও ইমরান মিলে মারুফকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২১ মে রাতে মারুফকে কৌশলে বাইরে নিয়ে গিয়ে মদপান করায় ইমরান। পরদিন মারুফ রাতে ঘরে ফেরেন। এ সময় মারুফকে তার স্ত্রী উর্মি ট্যাংয়ের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে পান করান। এতে মারুফ গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়লে উর্মি পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী মারুফকে হত্যার জন্য তার প্রেমিক ইমরানকে খবর দেন।
র্যাব জানায়, ঘটনার দিন সকালে ইমরান এসে মারুফের ঘরে প্রবেশ করে। তার কিছুক্ষণ পর উর্মি ও ইমরান দুজনে মিলে তাদের পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী শক্ত হাতুড়ি দিয়ে মারুফের মাথায় সজোরে আঘাত করে। মারুফ ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। ঘটনার পর উর্মি ও ইমরান হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুড়ি ও রক্তমাখা জামাকাপড় পাশের ডোবার পানিতে ফেলে দিয়ে দুজনই পালিয়ে যায়। হত্যাকাণ্ডের পর মারুফের পরিবারের লোকজন বাদি হয়ে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় উর্মি ও ইমরানের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করে।