কোন ব্যক্তি নেতা হিসেবে জন্মায় না কোন ব্যক্তি নেতা হিসেবে জন্মায় না

কোন ব্যক্তি নেতা হিসেবে জন্মায় না কোন ব্যক্তি নেতা হিসেবে জন্মায় না


মো ইয়াকুব আলী পঞ্চগড়


না,কঠোর চেষ্টা ও ত্যাগের মাধ্যমে একজন মানুষ নেতায় পরিনত হয়! যেমন- মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন, এম.পির, রাজনীতি পরিচিতি :
এ্যাডভোকেট মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৮ সালে বিএসসি অনার্স এবং ১৯৭৯ সালে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৮৩ সালে এল,এল,বি ডিগ্রী এবং ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল হতে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। পরবর্তীকালে তিনি ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হবার পর সুনামের সহিত দীর্ঘ ৩৩ (তেত্রিশ) বছর আইন পেশায় নিয়োজিত আছেন।
ছাত্রজীবনে জনাব এ্যাডভোকেট মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এর ১৯৮০-৮১ সালের সংসদের বিজ্ঞান মিলনায়তন সম্পাদক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ছিলেন। ইহা ব্যতিত তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
জনাব মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন পেশা জীবনে আইনজীবী হিসেবে ১৯৯০-৯১ সালে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সহ-সম্পাদক এবং ২০০৮-২০০৯ সালে বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন।
জনাব মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বাদী পক্ষের অন্যতম আইনজীবী ছিলেন এবং ঐতিহাসিক জেল হত্যা মামলারও বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন।
বড় ভাই মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ১৯৯৭ সালের ২রা জুন ইন্তেকাল করার পর, জনাব মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন, পঞ্চগড় ২ (বোদা-দেবীগঞ্জ) আসন থেকে নবম, দশম এবং একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।
তিনি নবম জাতীয় সংসদের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ইহা ছাড়াও তিনি হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দিনাজপুর এর রিজেন্ড বোর্ডের সদস্য এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা-এর সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১০ম জাতীয় সংসদের নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও বে-সরকারী সিদ্ধান্ত প্রস্তাব বিল এবং সরকারী প্রতিষ্ঠান সমূহ সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সংসদীয় কমিটির কার্যক্রমকে গতিশীল করার লক্ষ্যে তিনি সংসদীয় কমিটির প্রতিনিধি হিসেবে জার্মানী, বেলজিয়াম, যুক্তরাজ্য, চীন, ভারত, জাপান, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, মরোক্কো, সুইজারল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, দক্ষিণ কোরিয়া, নেপাল, শ্রীলংকা, ইথিওপিয়া, সুদান, মিশর, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, থাইল্যান্ড, হংকং, মরিশাস, দক্ষিণ আফ্রিকা, ফিলিপাইন এবং সৌদি আরব সহ বেশ কয়েকটি দেশ ভ্রমন করেন। তিনি পেশাজীবী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সুপ্রীম কোর্ট শাখার সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ এর যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ছিলেন। তিনি যুব সংগঠন কেন্দ্রীয় যুবলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
জনাব মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন ২০০৪ সালে পঞ্চগড় জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে কাউন্সিলের মাধ্যমে নির্বাচিত হন এবং অদ্যবধি সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
বড় ভাই এ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম দিনাজপুর জেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। তিনি ১৯৭০ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে পঞ্চগড় দুই নম্বর আসন হইতে প্রাদেশিক পরিষদ এর সদস্য নির্বাচিত হন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে ১৯৭১ সালে ৬নং সেক্টরে মুজিবনগর সরকারের বেসামরিক উপদেষ্টা এবং দেশ স্বাধীনের পরে ১৯৭৩, ১৯৭৯, ১৯৮৬ সালে পঞ্চগড় ১ ও ২ আসন থেকে পর পর ৪ বার জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। গত ৩০শে ডিসেম্বর ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনাব মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন তৃতীয়বার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রীসভায় নিযুক্ত করেন এবং তিনি গত ৭ই জানুয়ারী ২০১৯ সালে মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি বর্তমান সরকারের রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসাবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *