খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:
খাগড়াছড়ি সদরের শালবন এলাকার বাসিন্দা মোঃ মামুন (৩০) নামের এক যুবককে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে উপজাতি সন্ত্রাসীরা। (১৮ সেপ্টেম্বর) বুধবার ভোরে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের পানখাইয়া পাড়া এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মামুন মধ্য শালবন এলাকার মৃত নূর নবীর ছেলে। এলাকাবাসী জানিয়েছেন,
উপজাতি সন্ত্রাসী কতৃক হামলায় মামুনের মৃত্যু হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এমন একটি ভিডিওতে তার প্রমাণ পাওয়া যায়।
অপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার জন্য মোটরসাইকেল চুরি এবং গণপিটুনির কথা ছড়িয়ে অপ্রপ্রচার করেছে উপজাতি সন্ত্রাসীরা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় মামুন শালবন এলাকায় কাঠের ফার্নিচারের ব্যবসার সাথে জড়িত।
ভোরে পানখাইয়া পাড়া এলাকায় হাত পা বাঁধা অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় এলাকাবাসী। পরে পুলিশ গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত মামুন এর মাথায় এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
বিকেলে এলাকাবাসী মামুনের লাশ নিয়ে খাগড়াছড়ি শাপলা চত্বরে এক প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ করে। বাঙালি বিক্ষোভকারী জনতা দ্রুতসময়ের মধ্যে মামুনের হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবী জানান।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা বলেন, খবর পেয়ে আমাদের পুলিশ টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে মামুন নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে। সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এবং সম্প্রীতি রক্ষায় তৎপর রয়েছে প্রশাসন ।