গলাচিপা উপজেলা ডাকুয়া ইউনিয়ন নদী ভাঙ্গনে হারিয়ে যেতে বসেছে একটি রাস্তা।

গলাচিপা উপজেলা ডাকুয়া ইউনিয়ন নদী ভাঙ্গনে হারিয়ে যেতে বসেছে একটি রাস্তা।

পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।
শ্রী মিশুক চন্দ্র ভুইয়া।

পটুয়াখালী জেলা  গলাচিপা উপজেলা ডাকুয়া ইউনিয়ন থমকে আছে রামনাবাদ নদী ভাঙ্গন রক্ষার কাজ। নদীগর্ভে হারিয়ে যেতে বসেছে একটি  ইউনিয়ন, তবুও নেই কোন কার্যকর পদক্ষেপ। প্রথম পর্যায়ে কিছু কাজ হলেও অর্থের অভাবে থমকে আছে ভাঙ্গন রোধের কাজ এমনটায় বলছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ফলে একদিকে যেমন ভাঙ্গন রোধ করা যাচ্ছে না, তেমনি নষ্ট হচ্ছে পরিত্যক্ত ও শ্যাওলা পরা অবস্থায় পরে থাকা লাখ লাখ টাকার শতশত জিও ব্যাগ। উপজেলার 06নং ডাকুয়া ইউনিয়নে 250 মিটার নদী ভাঙ্গন রক্ষায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড 1 কোটি 72 লাখ টাকার 50 হাজার জিও ব্যাগ বরাদ্দ দিলেও অর্থের অভাবে কাজ বন্ধ রয়েছে এমনটাই জানায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় জনসাধারনের সাথে কথা বলে জানা যায় শতশত জিও ব্যাগ শ্যাওলা পরা অবস্থায় নদীর পাড়ে পরে আছে, সরকার নদী ভাঙ্গন রক্ষায় জিও ব্যাগগুলো বরাদ্দ দিলও কোন তদারকী না থাকায় জিও ব্যাগ গুলো কোন কাজে আসছে না।এদিকে ভাঙ্গন দিন দিন আর তীব্র হচ্ছে। ফলে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে উপজেলার মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে পারে উক্ত ইউনিয়নের আটখালী তেতুলতলা বাজার,আটখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আটখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, মসজিদ ও মন্দির, ঐতিহাসিক স্থাপনা জমিদারবাড়ী সহ কয়েক হেক্টর ফসলী জমি। প্রতি বছর বর্ষা এলেই আতঙ্কে থাকে ডাকুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দারা। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পটুয়াখালী সদর দপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জনাব মোঃ আরিফ হোসেন বলেন ডাকুয়ার নদী ভাঙ্গনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ও ঝুকিঁপূর্ন হিসেবে দেখা হয়েছে। ইতি মধ্যে 250 মি. নদী ভাঙ্গন রক্ষায় 1 কোটি 72 লাখ টাকার 50 হাজার জিও ব্যাগ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বর্তমানে কোন বরাদ্দ না থাকায় ধীরগতিতে আগাচ্ছে নদী ভাঙ্গন রক্ষার কাজ। আরো অর্থ বরাদ্দ পেতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। এদিকে ঝঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত চলছে শতশত যানবাহন। দ্রুত নদী ভাঙ্গন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গহণের জন্য কর্তৃপক্ষকে জোর অনুরোধ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *