রুবেল
খোলাফায়ে গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারীগণ সুরে সুরে হুজুর গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী (কঃ)'র শানে আজমতের উপর অসংখ্য স্তুতিগান রচনা করেছেন। এসব স্তুতিগানের নিরিখে হুজুর গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী (কঃ)'র গাউসুল আজমিয়্যত এবং ত্বরিকায়ে মাইজভাণ্ডারীয়ায় তাঁহার অদ্বিতীয়তা সুস্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়।বাহরুল উলুম আল্লামা আব্দুল গণি কাঞ্চনপুরী (রঃ) বলেন-
"গাউসে ধনের মর্ম ভবে সত্য মতে কেবা জানে,
শরীয়তে বান্দা দেখি হাকিকতে খোদা জানে।
প্রভু আর তান মর্ম ভবে কে জানিবে বল,
প্রভু মর্ম তিনি জানে তানে ভব কর্ত্তা জানে"
অপর একটি গানে মকবুলে কাঞ্চনপুরী বলেন-
"মাওলানার মহাগুণ কি করিব বর্ণনা,
নরবেশে এই দেশে লুকিছেন মাওলানা"
হুজুর গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী ছিলেন কুলকায়েনাতের জন্য খোদা প্রদত্ত অন্যতম শ্রেষ্ট নেয়ামত। প্রভুর এই নেয়ামত পাওয়া পরম সৌভাগ্যের।তাইতো সুফি কবি মওলানা বজলুল করিম মন্দাকিনী গেয়েছেন-
"অবশেষে ভাগ্যবলে বিভুর করুনার ফলে,
সত্য প্রেমের দীক্ষা নিয়ে মাইজভাণ্ডারীর আগমন"
খাতেমুল অলদের আগমনীতে সারা জাহান আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়ে। মানব-ফেরেশতার সমন্বয়ে মারহাবা ধ্বনি প্রতিধ্বনিতে সমগ্র দ্যুলোক -ভূলোক মুখরিত হয়ে উঠে।মকবুলে কাঞ্চনপুরীর সুরে-
"জমিনে আদম কুলে, আর্শয়ে ফেরেশতা দলে।
মারহাবা মারহাবা ধ্বনি পড়িলরে"
হযরত কেবলা আলম ছিলেন এমন এক মহান সত্ত্বা, কলুষিত অন্তরের অধিকারীগণ তাহার সান্নিধ্যে আসার পর নিষ্কলুষ হয়ে যেত। তাদের অন্তর এমন স্বচ্ছ আয়না তুল্য হয়ে যেত যেখানে ভাল মন্দের তফাৎ নির্ণীত হয়ে যায়।আরেফ কবি মওলানা আব্দুল হাদী (রাঃ)'র ছন্দে বলা যায়-
"প্রেম রতনের মুদ্রা দিয়ে টুটা ফাটা দিল কিনিয়ে।
সেকান্দরী আয়না তাতে করেন তৈয়ার"
ইমামুল আউলিয়ার আধ্যাত্মিক প্রভাবে সমগ্র জাহান আলোকিত হয়ে পড়ে। গাউসুল আজমের বিজয় পতাকা গগনাঙ্গনে উড়তে থাকে। মোফাচ্ছেরে কোরআন মৌলবী আয়ুব আলীর কবিতার ছন্দে-
"হয়েছে উজ্জ্বল ধরা কিরণে তোমার
জয়কেতু উড়ে তব আকাশে আবার"
নবি করিম (দঃ)'র তিরোধানেরপ্রায় ছয় শতাব্দী পর ইসলাম ধর্ম যখন মৃতপ্রায় হয়ে যায় তখন পীরানে পীর (কঃ)'র আগমনের মাধ্যমে ইসলাম পুনর্জীবন লাভ করে। পীরানে পীর (কঃ) ধরাধাম ত্যাগ করার প্রায় ছয় শতাব্দী পর পুনরায় যখন দ্বীনে ইসলাম মৃতপ্রায় হয়ে পড়ে তখন সুলতানুস সালাতিন তথা গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী (কঃ)'র আগমনে ইসলাম আবারও প্রাণ ফিরে পায়। এ প্রসঙ্গে মাওলানা আমিনুল হক ধর্মপুরী (রঃ) বলেন-
"শুনিয়া বেলালের আজান,
জেগে উঠে সারা জাহান
জিন্দা হল দ্বীন ইসলাম,
মাইজভাণ্ডারী ত্বরিকাতে"
মহান রাব্বুল আলামিন নিজেই খলিফাতুল্লাহিল আকরাম গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী (কঃ) কে বেলায়তে মোতলাকায়ে আহমদী যুগের গাউসিয়য়ের ভার ন্যস্ত করেছেন। গানের সুরে শাহ মকবুল পণ্ডিত কুতুবদ্বীপি (রঃ) বলেন-
"গাউসে মাইজভাণ্ডার তিনি আলমের সরদার
পরওয়ারে দিয়াছেন যাঁরে গাউসিয়তের ভার"
গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী (কঃ)'র গাউসুল আজমিয়্যত হাশরের ময়দানেও বলবৎ থাকবে। এজন্যই মাওলানা আব্দুস সালাম ভুজপুরী গানে গানে বলেছেন-
"ওঠো এয়ারো দেখ ইয়ে মাহশরে ময়দানে গাউছিল্লাহ,
খোদা খোদ জলওয়াগর ইছমে কে হাজের হ্যায় রসুলিল্লাহ"
পরিশেষে রাব্বুল আলামীনের দরবারে ফরিয়াদ আজকের এই মহান দিনে প্রভুর রহমতের অবারিত বর্ষণে সিক্ত হয়ে গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারীর শানে আজমত বুকে ধারন করে হাসরের ময়দানে লেওয়ায়ে আহমদীর সামিয়ানা তলে যাতে স্থান পায় সেই তাওফিক দান করুন।আমিন।