বিলকিছ আক্তার রুবি স্টাফ রিপোর্টার
গাজীপুরের সিনিয়র সাংবাদিক মঞ্জুর হোসেন মিলন হত্যার বিচার দাবিতে বিকেলে কাপাসিয়া উপজেলা শহরে এক বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে স্থানীয় সাংবাদিকসহ জেলার বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা।আজ মঙ্গলবার বিকেলে গাজীপুর সিটি প্রেসক্লাব ও কাপাসিয়া প্রেসক্লাবের উদ্যোগে উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সংলগ্ন গাজীপুর—রানীগঞ্জ সড়কে মানববন্ধনে প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা অংশ নেয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কাপাসিয়া প্রেসক্লাবের সহ—সভাপতি সাইফুল ইসলাম শাহীন। কাপাসিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও প্রফেসর শামসুল হুদা লিটনের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর সিটি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজমুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন, কাপাসিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এফএম কামাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক বেলায়েত হোসেন, গাজীপুর প্রেসক্লাবের সদস্য আব্দুল গাফফার, কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সেলিম প্রমুখ।এ সময় সাংবাদিকরা ক্ষুব্ধস্বরে বলেন, ঘাতক ট্রাকচালক গ্রেফতার হলেও এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকা ট্রাক হেলপার ও মালিককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান। সাংবাদিকরা আরও বলেন, ট্রাক মালিক ও চালকরা মামলা ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে থানা প্রশাসনের সাথে আতাত করছে বলে অভিযোগ করেন।মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন আমাদের সময়ের কাপাসিয়ার প্রতিনিধি জাকির হোসেন কামাল, বাংলাদেশ প্রতিদিনের শেখ সফিউদ্দিন জিন্নাহ, সমকালের আব্দুল কাইয়ুম, দৈনিক বাংলাদেশ কন্ঠের গাজীপুর প্রতিনিধি জাহিদ হাসান ভূঁইয়া, দেশ রূপান্তরের তপন বিশ্বাস, আলোকিত বাংলাদেশের আকরাম হোসেন রিপন, যুগান্তরের খোরশেদ আলম ও সাংবাদিক মাহমুদুল হাসানসহ অন্যান্যরা। এর আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।উল্লেখ্য, গাজীপুর থেকে প্রকাশিত গাজীপুর দর্পণ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মঞ্জুর হোসেন মিলন গত ৪ ঠা আগস্ট ২০২৩ ইং তারিখে গাজীপুর থেকে কাপাসিয়া গ্রামের বাড়ি আসার সময় কোটবাজালিয়া বাজারের পাশে বালুবোঝাই একটি ড্রামট্রাক চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার দিন রাতে নিহতের ছোটভাই বাদি হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু অভিযোগটি পুলিশ না নিয়ে এজাহার পরিবর্তনে বাধ্য করে মিলনের স্ত্রী রিমিন আক্তারকে বাদি করে সড়ক পরিবহন আইনে একটি মামলা নেয় পুলিশ। মামলার একদিন পর র্যাব—১ ও ১০ যৌথ অভিযান চালিয়ে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং এলাকার তার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ঘাতক ট্রাকচালক আহাদ মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে।