গাজীপুরে মানহানী ও চাঁদাবাজির অভিযোগে টেলিভিশন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নেতার ৩ মামলা

গাজীপুরে মানহানী ও চাঁদাবাজির অভিযোগে টেলিভিশন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নেতার ৩ মামলা

গাজীপুরে মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করে মানহানী এবং চাঁদাবাজীর অভিযোগে মাসুদুল ইসলাম সুমন নামে এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে গাজীপুর চীফ মেট্রোপলিটন আদালতে পৃথক ৩টি মামলা করেছেন টঙ্গীর ছাত্রলীগ নেতা আসাদ সিকদার ।
মাসুদুল ইসলাম সুমন বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল মোহনা টিভিতে কর্মরত । মামলায় তার বিরুদ্ধে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও সর্বমোট ১৫ কোটি টাকার মানহানির অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৪শে ফেব্রুয়ারি টঙ্গীর মরকুন বাসিন্দা ছাত্রলীগ নেতা আসাদ সিকদারকে জড়িয়ে মাদক বিক্রির টাকায় কোটি টাকার সম্পদ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রচারিত হয় মোহনা টেলিভিশনে। যার প্রতিবেদক ছিলেন মাসুদুল ইসলাম সুমন । প্রতিবেদনে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ত্রুটিপূর্ণ ভূল এবং মিথ্যা তথ্য তুলে ধরার অভিযোগ আনা হয়।
প্রতিবেদনটি প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন ওই ছাত্রলীগ নেতা। পরে গত ৬ মার্চ বিজ্ঞ আদালতে ৫ লাখ টাকা চাঁদাবাজির একটি ও ৯ মার্চ ৫ কোটি টাকার মানহানীর একটি মামলা করেন তিনি। এরপর গত ১২ ফেব্রুয়ারি ‍’দুর্নীতি তুলে ধরায় মামলার শিকার মোহনা টিভির সাংবাদিক’ শিরোনামে আরো একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন সাংবাদিক মাসুদুল ইসলাম সুমন। এরপর পুনরায় ১৪ মার্চ আরো একটি ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন ওই ছাত্রলীগ নেতা। এই নিয়ে মোহনা টিভির প্রতিবেদক মাসুদুল ইসলাম সুমনের নামে গাজীপুর বিজ্ঞ আদালতে পৃথক তিনটি মামলা করা হয়েছে।
এবিষয়ে সাংবাদিক মাসুদুল ইসলাম সুমন চাঁদাদাবীর বিষয়টি অস্বিকার করে বলেন, তথ্যের প্রয়োজনে আসাদ সিকদারের সাথে আমার দুইবার মুঠোফোনে কথা হয়েছিলো। এখন পর্যন্ত তার সাথে দেখা হয়নি। আদালতের প্রতি আমি আস্থাশীল ও ন্যায় বিচার প্রত্যাশী। তদন্তে আমি দোষী হলে আদালত যা ব্যবস্থা নেবেন আমি তা অবশ্যই মেনে নেবো।
এব্যাপারে ছাত্রলীগ নেতা আসাদ শিকদার জানান, আমাকে জড়িয়ে ওই প্রতিবেদক মনগড়া মিথ্যা এবং উদ্দ্যেষ্যমূলক প্রতিবেদন পপ্রকাশ করেছেন। প্রতিবেদনে আমাকে কিশোরগ্যাং এর প্রধান এবং মাদক ব্যবসায়ী আখ্যা দেয়া হয়েছে। এসব করে আমি নাকি কোটি কোটি টাকার মালিক। এসব আদৌ সত্য নয়, এখানে আমার মান সর্ন্মান হানী করা হয়েছে। তিনি আমার কাছে চাঁদা দাবী করেছেন। তাই আমি ন্যায় বিচার পেতেই বিজ্ঞ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *