গাজীপুর চান্দনা চৌরাস্তা কাঁচামাল আড়ৎদার মালিক গ্রুপের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগের প্রতিকার চেয়ে পুলিশ কমিশনার বরাবর চিঠি।

গাজীপুর চান্দনা চৌরাস্তা কাঁচামাল আড়ৎদার মালিক গ্রুপের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগের প্রতিকার চেয়ে পুলিশ কমিশনার বরাবর চিঠি।

দৈনিক সত্যের খোঁজে আমরা


বিলকিছ আক্তার রুবি ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি

গাজীপুর মহানগর চান্দনা চৌরাস্তা কাঁচামাল আড়ৎদার মালিক গ্রুপের বিরুদ্ধে জামায়াত নেতার দায়ের করা একাধিক সংস্হার বিভিন্ন মামলা ও অভিযোগ তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ার পরও ষড়যন্ত্র থামেনি বলে এর প্রতিকার চেয়ে গাজীপুর পুলিশ কমিশনার বরাবর আবেদন করেছেন কাঁচামাল আড়ৎদার মালিক গ্রুপের সভাপতি মোঃ আব্দুস সোবাহান। ঐ আবেদন সুত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালে স্ট্যাম্পে লিখিতভাবে নূরুল হকের নিকট থেকে গাজীপুর জেলার তৎকালীন জয়দেবপুর থানা, বর্তমানে জিএমপি বাসন থানাধীন আউটপাড়া মৌজাস্থিত চান্দনা হক মার্কেটের সি এস এ ১৩৭,১৩৮ এবং আর এস ১৫৫ ও ১৫৬ নং দাগের কাতে ৭২.৫০ শতাংশ জমি ভাড়া নিয়ে স্থাপনা নির্মাণ করে এবং মার্কেট সংস্কার করে বৈধভাবে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসিতেছে গাজীপুর কাঁচামাল আড়ৎদার মালিক গ্রুপ।উক্ত জমিতে বৈধভাবে ব্যবসিয়িক কার্যক্রম পরিচালনা কালে গত ১০/০৩/২০১৬ সালে নূরুল হক স্ট্যাম্পে লিখিতভাবে উল্লেখিত ৭২.৫০ শতাংশ জমিসহ জমিতে নির্মিত মার্কেটে সর্বময় ক্ষমতা তার ২য় স্ত্রী শাহনাজ পারভীনের নামে লিখে দেয়।নূরুল হক তার ২য় স্ত্রীর নামে উল্লেখিত জমি লিখে দেওয়ার পর গাজীপুর কাঁচামাল আড়ৎদার মালিক গ্রুপের ৫০৭ জন সদস্য শাহনাজ বেগমের সাথে এক চুক্তিবদ্ধে আবদ্ধ হন এবং মাসিক ভাড়ায় ব্যবসা পরিচালনা করিয়া আসছে। শাহনাজ পারভীনের সাথে কাঁচামাল আড়ৎদার মালিক গ্রুপের সদস্যরা চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর থেকে নূরুল হক বিভিন্ন মামলা ও অভিযোগ দিয়ে তাদেরকে হয়রানী করে,গাজীপুর কাঁচামাল আড়ৎদার গ্রুপের সদস্যদের উচ্ছেদ করার জন্য নূরুল হক গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিট্রেট আদালতে একটি সি আর মামলা দায়ের করেন, যাহার মামলা নং- ৬২৭/২০২২ ইং তারিগ ২৫/০৫/২০২২ ইং ধারা- ১৪৩/৪৪৭/৩০৭/৩২৩/৩৮৫/৪২৭/৫০৬ দায়েরের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করে আসছে। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে উল্লেখিত সি আর মামলাটি পিবিআই এলর তদন্তে মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে। এর আগে নূরুল হক কতৃক দায়েরকৃত অভিযোগ বাসন থানা পুলিশের তদন্তে মিথ্যা প্রমানিত হয়। যার প্রতিবেদন গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানা পুলিশ গত ২৪/০৯/২০২২ ইং তারিখে ৫৭৮৯ নং স্মারকে পুলিশ কমিশনার বরিবর দাখিল করেন। একাধিক মামলা ও অভিযোগ তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ার পরও নূরুল হক বিভিন্ন সংস্হায় হয়রানিমূলক অভিযোগ দিয়েই আসছেন। এর ফলে গাজীপুর কাঁচামাল আড়ৎদার মালিক গ্রুপের সদস্যরা হয়রানি ও অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার নূরুল হকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। একটি সুত্রে জানা যায় যে, নূরুল হক একটি মামলার সাজা প্রাপ্ত
হওয়ায় সে পলাতক রয়েছে।এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি সুত্র জানাই, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *