দিনাজপুর জেলার প্রতিনিধ
মোঃওয়াজ কুরনী
বৃদ্ধ সমছেল ইসলাম (৬০)। বয়সের ভাড়ে কিছুটা নুইয়ে পড়েছিলেন তিনি। তবে সংসারের অভাব যেন বয়স মানে না। দীর্ঘসময় সংসারের অভাব অনটনে পারিবারিক অশান্তি তাকে মানষিক বিকারগ্রস্ত করে তুলেছিল।
সেই অভাব থেকে মুক্তি পেতে আত্মহননের পথ বেছে নেন তিনি। শনিবার সন্ধায় দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ৪নং সদর ইউনিয়নের কুন্দারামপুর গ্রামের নিজ ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় বৃদ্ধ সমছেলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত সমছেল ইসলাম (৬০) ওই গ্রামের মৃত গফুর আলী মন্ডলের ছেলে। গত সপ্তাহেও তিনি নিজের পেটে চাকু ঢুকিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী বিলকিছ বেগম।
তিনি জানান, গত ৪-৫ দিন আগে নিজের পেটে চাকু ঢুকানোর চেষ্টা করেছিলেন সমছেল। তবে তারা (পরিবারের সদস্য) দেখে ফেলায় আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে, তার পেটে কয়েকটি সেলাই দিতে হয়।
পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, চার সন্তানকে নিয়ে সরকারী আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরে বসবাস করে আসছিলেন বৃদ্ধ সমছেল-বিলকিছ দম্পতি। বড় তিন ছেলে বিবাহিত। ভ্যানচালক ছোট ছেলেকে নিয়ে সংসার চলতো তাদের।
শনিবার সন্ধায় নিহত সমছেলকে ঘরের ভেতরে রেখে বাহির থেকে তালা দিয়ে পাশে ছেলের বাড়িতে যান তার স্ত্রী বিলকিছ বেগম। সন্ধার কিছু পরে ঘরের জানালা দিয়ে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় স্থানীয়রা। সে সময় ঘরের তীরের সাথে গলায় ওড়না পেচানো অবস্থায় ঝুলে ছিলেন তিনি। পরে তারা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে ঘরের দরজার তালা ভেঙ্গে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
সংশ্লিষ্ট ৪নং ঘোড়াঘাট ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) রুহুল আমিন বলেন, পারিবারিক অশান্তির কারণে দীর্ঘ যাবত তিনি (সমছেল) গাঁজা সেবন করতেন। প্রায় সব সময় তিনি নেশার উপরেই থাকতেন।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, পরিবারের দাবি নিহত ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন। পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় তাদের আবেদনের পেক্ষিতে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।