দৈনিক সত্যের খোঁজে আমরা
মিলি সিকদার ঃ ভোলা জেলার চরফ্যাশন
উপজেলার শশীভূষন থানার চর কলমী ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জলিলের বিরুদ্ধে স্বামী পরিত্যক্তা নারী মিনারা বেগম কে অপহরণ ও তার টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় রোববার (১১জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬:৩০ শশীভূষণ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছ মিনারা বেগমের ভাই আবু জাফর (৪৫)।
আবু জাফর বলেন,মিনারা আমার একমাত্র বোন তার স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ার কারণে দীর্ঘ ১৫ বছর হল তাদের মধ্যে ডিভোর্স হয়ে গেছে। এরপরই আমার বোন গার্মেন্টসে যায় সেখান থেকে সে টাকা রোজগার করে তার জমানো টাকা আমাদের এলাকার বর্তমান ইউপি সদস্য মোহাম্মদ জলিলকে লগ্নির উপর দেয়। সেই সুবাদে জলিলের সাথে আমার বোনের একটা সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু চতুর নারীলোভী জলিল আমার বোনকে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে দীর্ঘ ৯ বছর শারীরিক সম্পর্ক চালিয়ে যায়। এছাড়া জলিলের সাথে অবৈধ সম্পর্কের একটি বাচ্চা এবরশন করে।
গত ০৮/০১/২৩ ইং তারিখে আনুমানিক ছয় ঘটিকার সময় আমার বোন বাড়ি থেকে বলে বেড়িয়েছে যে মেম্বারের সাথে দেখা করতে যাচ্ছে। এর পর থেকে আমরা আমার বোন মিনার কে খুঁজে পাচ্ছিনা। আমি ধারণা করছি আমার বোনকে জলিল মেম্বার তার কৃতকর্ম ঢাকার জন্য অপহরণ করেছে। গত ৮ জানুয়ারি রোববার বিকেল ৫ টার দিকে আমাদের বেপারী বাড়ির সামনে দিয়ে জলিল মেম্বার একাধিকবার পায়চারি করেছে। এ সময় জলিল মেম্বার আমাদের বাড়ির সামনে এসে মিনারা কে ডাকাডাকি করেন। জলিল মেম্বার ডাক শুনে মিনারা দ্রুত ঘর থেকে বের হয়ে যায়।
হাফিজুর রহমান বলেন, মিনারা গরিব মানুষ। এই জলিল মেম্বার দীর্ঘ দিন ধরে মিনারার পেছনে অসৎ উদ্দেশ্যে লেগে ছিল । লেনদেনের সম্পর্ক থাকার কারণে দিনে-রাতে জলিল মিনারা কে বিরক্ত করেন।এখন মিনারা কে জলিল মেম্বার অপহরণ করে নিয়ে মেরেও ফেলতে পারে। আমরা এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি যাতে দ্রুত মিনারা কে খুঁজে বের করা হোক।
এলাকাবাসী জানায়, অভিযুক্ত জলিল মেম্বারের বিরুদ্ধে শশীভূষণ থানা চাল চুরির মামলা রয়েছে।এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে রয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা জি,আর ৩৬৬/১২ চলমান রয়েছে । এছাড়াও এলাকাবাসীর অনেককেই বিভিন্ন সময় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জলিল মেম্বার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ব্যক্তি প্রতিহিংসায় আমাকে হেয় করার জন্য এসব অভিযোগ করা হয়েছে।
শশীভূষণ থানার (ওসি) মো: মিজানুর রহমান জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি। এ ব্যাপারে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে । তদন্ত করে শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়া হবে