সামসুদ্দিন হাওলাদার চরফ্যাশন ভোলা থেকে।

চরফ্যাশনে মুজিবনগর ইউপিতে আঃ ওয়াদুদ পুনঃ নির্বাচিত
আজ ১৭জুলাই ভোলার চরফ্যাশন ১৬ নং মুজিবনগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া
আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা মার্কা নিয়ে ৫৪৪৭ ভোট পেয়ে (বিজয়ী) হয়েছেন।
তার নিকটতম আবুল কাশেম ফারুক (মুজিবনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি,) স্বতন্ত্র প্রার্থী
আনারস মার্কা ১২৫১ ভোট পেয়েছেন। ৪১৯৬ ভোট বেশি পেয়ে নৌকা মার্কার প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।মোট ভোট পরেছে ৬হাজার৬৯৮।প্রাপ্ত ভোট পরেছে শতকরা৭২.৯২।মোট ভোট পরেছে ৬৬৯৮। ১৭৩ ভোট বাতিল হয়েছে।

এদিকে মুজিবনগর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম চর লিওলিন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে মেম্বার প্রার্থীদের ফলাফল প্রকাশের পরে কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মোঃ সালাউদ্দিন (উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চরফ্যাশন) ব্যালট বক্স এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ব্যাগে করে চরফ্যাশন উপজেলা পরিষদের দিকে রওনার উদ্দেশ্য করলে পরাজিত মেম্বর (তালা প্রতীকের) প্রার্থী মোহাম্মদ রুবেল এর সমর্থকরা প্রিজাইডিং কর্মকর্তা কর্তৃক ঘোষিত ফলাফলে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে পুনরায় গণনা করার দাবি জানায়।এ সময় প্রিজাইডিং অফিসার সালাউদ্দিন পুনরায় আর ভোট গণনা করা হবে না বলে জানিয়ে দিলে তার সাথে তর্কে জড়িয়ে একপর্যায়ে প্রিজাইডিং অফিসারের সাথে হাতাহাতি ও মারধরের ঘটনা ঘটে।
এসময় তারা ভোট বক্স ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালায়। এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রে নিয়োজিত প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তালা প্রতীকের সমর্থকদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

পরবর্তীতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যালট বক্স ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি ট্রলারে করে রাতে চরফ্যাশনের নির্বাচন কর্মকর্তার পৌঁছে দেয়।সরেজমিনে গিয়ে চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল নোমান উত্তেজিত মেম্বর প্রার্থী ও তার সমর্থকদের পুনরায় ভোট ঘটনার আশ্বাস দিলে জনরোষের কবল থেকে প্রিজাইডিং অফিসারকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।এই ঘটনার তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নির্বাহী অফিসার জানান।এছাড়াও ৮নং ভোট কেন্দ্রে নির্বাচন পরবর্তী সংঘাত সংঘর্ষে কয়েজন আহত হয়েছেন।