সামসুদ্দিন হাওলাদার চরফ্যাসন ভোলা প্রতিনিধি।
ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার দুলারহাট থানাধীন
আহাম্মদপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাবিয়া বেগম নামের এক অসহায় নারী ও ছেলে পারভেজকে মারধর এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বসত ঘরে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে জসিম, বেলাল, কাশেম ও ইয়ামিনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে মা ও ছেলেকে মারধর করে এক রাত ঘরে তালাবদ্ধ করে রেখেছে। এঘটনায় রাবিয়ার স্বামী বাদী হয়ে দুলারহাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মঙ্গলবার (৪ জুলাই) উপজেলার আহাম্মদপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে বিকাল ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
গুরুত্বর আহত রাবিয়া উপজেলার আহাম্মদপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মোঃ বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী। অভিযুক্ত জসিম, বেলাল, কাশেম ও ইয়ামিন একই এলাকার বাসিন্দা।
শনিবার (৮ জুলাই) আহত রাবিয়া জানান, তাদের একটি ছাগল অভিযুক্ত জসিমের বাগানে গিয়ে একটি সুপারি গাছের পাতা খেয়ে ফেলে। এঘটনাকে কেন্দ্র করে জসিম রাবিয়াকে গালমন্দ করে এবং তাদের মাঝে বাকবিতন্ডা সৃষ্টি হয়। তার কিছুক্ষন পর জসিম, বেলাল, কাশেম ও ইয়ামিন মিলে রাবিয়ার বসত ঘরে প্রবেশ করে রাবিয়া ও তার ছেলে পারভেজকে বেধরক মারধর করে এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ঘরের টিন ও দরজা কুপিয়ে ঘরে থাকা স্বর্ণালংকার নিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা মা ও ছেলেকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসাপাতালে ভর্তি করেন। রাবিয়ার অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। এঘটনায় দুলারহাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন রাবিয়ার স্বামী মোঃ বেল্লাল হোসেন।
রাবিয়া আরো জানান, তাকে ও তার ছেলে পারভেজকে অভিযুক্তরা মারধর করে এক রাত ঘরে তালাবদ্ধ করে রেখেছে। মারধরে রাবিয়ার শরীরের বিভিন্ন স্থান রক্তাক্ত জখম হয়।
দুলারহাট ওসি মোঃ আনোয়ারুল হক কামাল জানান, উভয় পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ছবিঃ সংযুক্ত
সামসুদ্দিন হাওলাদার চরফ্যাসন ভোলা থেকে
০১৭২১২৯২৯২০