কুমিল্লা বরুড়া উপজেলায় মেড্ডা মাদ্রাসায় এক ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করেন মাদ্রাসা শিক্ষক।
শুক্রবার (৫ আগষ্ট) উপজেলার শশইয়া গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে মোঃ সিহাব (১২) কে পিটিয়ে হত্যা করে মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুল ওয়াহাব (৩৫)।
জানা যায়, মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুল ওয়াহাব শিশুটির অপরাধের শাস্তি হিসেবে ২০০ বেত্রাঘাতের সিদ্ধান্ত ঘোষনা করেন,শিশুটি এক পর্যায়ে মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকলেও ২০০ বেত্রাঘাত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বেত্রাঘাত বন্ধ করেননি অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল ওয়াহাব,বেত্রাঘাত শেষ হতে হতে শিশুটির শরীর নিথর হয়ে যায়।
এবিষয়ে বরুড়া থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
একটা মাদ্রাসার শিক্ষক জদি উগ্র মেজাজ হয় তাহলে ছাত্রদেরকে কিভাবে শিক্ষা দিবে।
এই ঘটনায় আমি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা, হিউম্যান রাইস রিভিউ সোসাইটির কেন্দ্রীয় সহকারী পরিচালক ও সীতাকুণ্ড উপজেলার প্রধান কার্যালয়ের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি,সমস্ত সাক্ষী প্রমাণ ভিত্তিতে এ হুজুরকে দ্রুত বিচার আইনে মৃত্যুদণ্ড রায় দিয়ে রায় কার্যকর করা হোক।
আর বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অনুরোধ থাকবে, এতিমখানা,হেফজখানা,বিশেষ করে যে মাদ্রাসাগুলোতে এতিম শিশুরা থাকে সেখানে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে সপ্তাহে একদিন খোঁজখবর নেওয়া দরকার,এতিম শিশুদের থেকে বক্তব্য নেওয়া দরকার,এতিম শিশুরা কেমন আছে।
আমরা অনেক সময় খবর পায়,এতিম শিশুরা শিক্ষক দ্বারা বলাৎকার হয়,নির্যাতিত হয়,কিন্তু এতিমখানা গুলোতে তদরকি না থাকার কারণে এই এতিম শিশুগুলো অভিযোগও করতে পারে না,তাই অন্ততপক্ষে সপ্তাহে একদিন শিশুদের থেকে বক্তব্য নেওয়া দরকার।
আমাদের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা,হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটির কেন্দ্রীয় সহকারী পরিচালক ও সীতাকুণ্ড উপজেলার প্রধান কার্যালয়ের পক্ষ থেকে আমরা এতিমখানার এতিম শিশুদের সাথে সর্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখার একটি ব্যবস্থা মাধ্যমে কার্যক্রম চালু করব,যাতে করে এতিমখানার এতিম শিশুরা যে কোন বিষয় নিয়ে আমাদের থেকে সহযোগিতা পায়।