ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ১২ নং নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের প্রায় ৩০০ জন হতদরিদ্র ১৫ টাকা কেজি মূল্যের চাউল ক্রয় থেকে বঞ্চিত হতে যাচ্ছে।

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ১২ নং নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের প্রায় ৩০০ জন হতদরিদ্র ১৫ টাকা কেজি মূল্যের চাউল ক্রয় থেকে বঞ্চিত হতে যাচ্ছে।

সুজন বিশ্বাস শৈলকূপা ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের হতদরিদ্র মানুষ প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ১৫ টাকা কেজি মূল্যের চাউল ক্রয় এর সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে যাচ্ছে প্রায় তিনশত কার্ড ধারী দরিদ্র মানুষ। রোজ ২৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে এই হতদরিদ্র মানুষেরা এসে হাজির হয় সাবাসপুর গ্রামের সাবাসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে। তারা জানায় যে তারা এর আগে ১০ টাকা কেজি মূল্যের চাউল শেখরা বাজার থেকে ক্রয় করেছে। এই বছর তারা আর এই চাউল ক্রয় করতে পারছে না। তারা জানায় চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন তাদের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির কার্ড নিয়ে নিয়েছে। কার্ড চেয়ারম্যান জমা নিয়ে সেই কার্ড ক্রস চিহ্ন দিয়ে বাতিল করে দিয়েছে। কেন বাতিল করেছে কি জন্য বাতিল করেছে এ বিষয়ে তারা কিছুই বলতে পারে না। তবে আজ চাউল দিচ্ছে খবর পেয়ে শেখরা বাজারে গেলে তাদের জানানো হয় তাদের কার্ড বাতিল হয়ে গেছে তারা চাউল পাবে না। তারা এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপ কামনা করে যাতে এই দরিদ্র মানুষ গুলো সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় মাসে ৩০ কেজি করে চাউল ক্রয় করতে পারে। তারা আরো জানাই আগামীকাল তারা অভিযোগ নিয়ে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকটে যাবেন।

এই সময়ে এখানে আরো উপস্থিত ছিল মহিলা ইউপি সদস্য মহিলা আক্তারের স্বামী সে বলে যে আমি তাদের সাথে এই কার্ডগুলো অনলাইন করার জন্য চেষ্টা করেছি কিন্তু করতে পারিনি।

এই প্রসঙ্গে নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন বলেন ১৮৫ টা কার্ড অনলাইন করা হয়েছে। তাদেরকে বলেছিলাম তাদের কার্ডগুলো হয় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসার অথবা ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের কাছে জমা দিতে। কিন্তু তারা তাদের কার্ডগুলো কোন জায়গায় জমা দেয়নি। তাদের কার্ড জমা না পাওয়ার কারণে তাদের কার্ড অনলাইন করা সম্ভব হয়নি। সাংবাদিকের নিকট চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন প্রশ্ন করেন যে ওই মানুষগুলোর কাছে আপনারা জানেন যে তারা তাদের কার্ড কোথায় কার নিকট জমা দিয়েছে?

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মঞ্জুরুল ইসলাম এর সাথে মোবাইলে কথা হলে সে বলে যে ওই ইউনিয়নের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির কার্ড ২২৫ টা অনলাইন হয়েছে আর বাকিগুলো অনলাইন হয়নি। চেয়ারম্যান কে বারবার বলা সত্বেও সে এই কার্ডগুলো অনলাইন করেনি কেন করছে না কি জন্য করছে না সেটা আমি বলতে পারব না। তবে শুধু আমি নয় আগে যে টিএনও ছিল সেও তাকে এই কার্ডগুলো অনলাইন করার জন্য বারবার তাগাদা দিয়েছে। তবে এই মাসের মধ্যে এই কার্ডগুলো অনলাইন না হলে ওই ইউনিয়নের ওই ব্যক্তিগুলো খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাউল ক্রয় করতে পারবেনা।

শৈলকুপা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন উনি কি জন্য এই কার্ডগুলো বাতিল করতে যাচ্ছে তা আমি বলতে পারি না। তবে ভুক্তভোগী হতদরিদ্র মানুষগুলো যদি কোন লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে আমি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবো এবং জানতে পারবো কেন কি কারনে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির এই কার্ডগুলো অনলাইন করা হচ্ছে না। তারা যদি আমার নিকট আসে তাহলে আমি তাদের কার্ডগুলো অনলাইনের ব্যবস্থা করে দেব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *