দেড়টার দিকে টঙ্গী পশ্চিম থানার কাছাকাছি স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ভিডিও ধারণ করার সময় এশিয়ান টেলিভিশন গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি আরিফ চৌধুরীর ওপর হামলা চালায় টঙ্গী পশ্চিম থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা এনামুল হক অনিক ও তার সহযোগীরা।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাত ১১ দিকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এনামুল হক অনিক এর নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলা চালায় টঙ্গী পশ্চিম থানা ছাত্র লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী রাশেদ খান মেননের বাড়িতে এবং রাশেদ খান মেননকে বাড়িতে না পেয়ে তার পরিবারের সদস্যদেরসহ মেননের অনুসারী মোঃ নুর আলম ও তার মা নুরজাহানকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধরের ঘটনায় রাতে থানায় অভিযোগ করা শেষে মেনন, নুর আলম ও তার মা নুরজাহান বেগমকে থানার কাছাকাছি এনামুল হক অনিক ও তার বাহিনী আবারো হামলা চালায়। ঘটনাস্থলে এশিয়ান টেলিভিশনের সাংবাদিক আরিফ চৌধুরী সংঘর্ষের ঘটনার ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণা করলে আরিফ চৌধুরীর সাথে বাকবিতণ্ডা হয় কিশোর গ্যাং বাহিনীর নিয়ন্ত্রক আশরাফুল ইসলাম বাবু সাথে। পরে সাংবাদিক আরিফ চৌধুরী তার পরিচয়পত্র দেখায়। সাংবাদিকের পরিচয় পত্র দেখানোর পরও আশরাফুল ইসলাম বাবু এনামুল হক অনিকসহ বেশ কয়েকজন আরিফ চৌধুরীকে মারধর করে তার পরিচয় পত্র মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বুধবার বিকেলে আরিফ চৌধুরী বাদি হয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে টঙ্গী পশ্চিম থানার অভিযানে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো টঙ্গী পশ্চিম থানা ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী ও কাঁঠাল দিয়া এলাকরার শাহীন মিয়ার ছেলে রাশেদ খান মেনন(২৫),স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী ও কাঁঠাল দিয়া এলাকার জামাল মিয়ার ছেলে এনামুল হক অনিক (৩১), একি এলাকার বারেক মিয়ার ছেলে তাইজুল ইসলাম, টঙ্গী পূর্ব থানাধীন গোপালপুর এলাকার নাসিরউল্লার ছেলে রিফাত হোসেন (২৩)কাঁঠাল দিয়া এালাকরার ইউসুফ মিয়ার ছেলে আল-আমীন (৩৯),আহম্মেদ আলীর ছেলে মোজাফফর (২৮) ও বড় দেওরা এলাকার বাদল হোসেন মিয়ার ছেলে আজহার (১৭)।
টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ আলম বলেন, হামলাকারীদের কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না,ঘটনার সাথে জড়িত ৭ জনকে গ্রেপ্তারের পর কোর্টে পেরন করা হয়েছে, বাকী আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।