“নিজে রক্ত দিন, অপরকে উৎসাহিত করুন”
এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে তাক্ওয়া অসহায় সেবা সংস্থার একটি টিম ২০১৭ সাল থেকে অসহায় মানুষের পাশে কাজ করে আসছে।
তাক্ওয়া অসহায় সেবা সংস্থার সম্মানিত ভ্রমণ বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান রানা গণমাধ্যম ফেইসবুকের একটি পোস্টে দেখতে পান ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক প্রসূতি মা রোজিনা আক্তার রক্তশূন্যতা দেখাদিয়েছেন। জরুরী ভিত্তিতে AB+ (পজেটিভ) রক্তের প্রয়োজন। না হলে বড় ধরনের সমস্যা হয়ে যেতে পারে। পরে রানা ডোনার এস.এম. আবু রায়হানকে রেডি করে তাক্ওয়া অসহায় সেবা সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ তপু রায়হান রাব্বি কে বিষয়টি জানান এবং যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন রিয়াদকে বিষয়টি অবগত করেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিতে বলেন। পরে অসহায় মানুষের পাশে থাকা ফুলপুরের সিটি জেনারেল হাসপাতালে ক্সসমিসিং ও ব্লাড টানা হয়।
এস.এম. আবু রায়হান বলেন, এটাই আমার ১ম তম রক্ত দান। অসহায় মানুষের পাশে থেকে রক্ত দিতে পেয়ে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। আমি শুধু রক্ত দিয়ে নয়, আপনাদের সংস্থার পাশে থেকে সব সময় অসহায় মানুষের সেবা করতে চাই।
রোগীর রোজিনা বেগমের মা বলে, এটা আমার মেয়ের ৫ম তম সন্তান। গত সোমার রাতে প্রসব ব্যথা উঠলে। পরে মঙ্গলবার ভোর সকালে বাড়িতেই ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। তারপর থেকেই আমার মেয়ের শরীর কাঁপতে এবং দুর্বল হতে থাকে। পরে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আনলে। কর্তব্য রত চিকিৎসক বলেন আপনার মেয়ে রক্তশূন্যতায় ভুগছেন, দ্রুত রক্তের প্রয়োজন। আল্লাহর রহমতে আপনাদের সহযোগিতার জন্য আমার মেয়ে রক্ত পেয়েছে। দোয়া করি আপনারা বাজান যুগযুগ বেঁচে থাকেন।
কর্তব্যরত ডাক্তার বলেন, আপনারা খুব দ্রুতগতিতে রক্ত মেনেজ করে দিয়েছেন দেখেই রোগীকে বাঁচানো গেছে । না হলে এর পরিণতি আরো ভয়াবহ হতে পারত।
তাক্ওয়া অসহায় সেবা সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ তপু রায়হান রাব্বি বলেন, অসহায় মানুষের জন্যই এ সংস্থা। আমরা সবাই অসহায় মানুষের পাশে আছি এবং থাকবো। আপনাদের সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি সব সময় ।
এসময় সাথে ছিলেন, তাক্ওয়া অসহায় সেবা সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ তপু রায়হান রাব্বি, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন রিয়াদ, ভ্রমণ বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান রানা, হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডের কর্মরত নার্স, রোগী রোজিনা বেগম, তার মা প্রমুখ।
ব্লাড ট্রানেন সিটি জেনারেল হাসপাতালে টেকনেশিয়ান।