বাগমারা উপজেলার হামিরকুৎসা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু (৬০)। এলাকায় তাকে সবাই বাচ্চু হুজুর নামেই চেনে। মোট বিয়ে করেছেন তিনটি। তৃতীয় স্ত্রীর সন্তান নেই, বাকি দুই স্ত্রীর ঘরে মোট সাতটি ছেলে-মেয়ের রয়েছে। এরপরও অন্যের স্ত্রী নিয়ে পালিয়েছেন এই বাচ্চু ১১ তারিখ সন্ধ্যায় ওই নারীর ছেলে (২২) বাগমারা থানায় একটি অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। পারিবারিক মান-সম্মানের দিকে তাকিয়ে প্রথমদিকে বিষয়টি প্রকাশে অনিচ্ছা থাকলেও মামলার কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় (২১ তারিখ ) সন্ধ্যায় ওই নারী ছেলে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাচ্চু উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের বাগিচাপাড়া এলাকায় মসজিদের ইমাম ছিলেন। পাশাপাশি তিনি কবিরাজির কাজও করতেন। ওই নারীর স্বামী প্যারালাইসিস রোগী ছিলেন। কবিরাজি চিকিৎসার জন্য নিয়মিত তার বাসায় যেতেন। একইসঙ্গে তিনি ওই নারীকে নিয়মিত কুরআন শিক্ষাও দিতেন। কিছুদিন পরই তার ছেলেদের সন্দেহ হওয়ায় তাকে বাসায় আসতে নিষেধ করেন। এরপরও বাচ্চু বাড়ির আশপাশে ঘোরাঘুরি করতেন।
গত ১১ তারিখ ওই নারী তার বাবার বাড়ি বেড়াতে যাবেন বলে ঘর থেকে বের হন। কিন্তু পরে আর বাড়ি ফিরেননি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর জানা গেছে বাচ্চু হুজুর তাকে ভাগিয়ে নিয়ে গেছেন।হুজুর।
নারীর বড় ছেলে ভাষ্যমতে, ‘বাচ্চু হুজুরকে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে নিষেধ করার পরও তিনি বাড়ির আশপাশে ঘোরাঘুরি করতেন। তিনি পানিপড়া ও তাবিজ-কবজ করতে জানেন। আমার মাও তার তাবিজ-কবজ ও পানি পড়ার খপ্পরে পড়েছেন। এছাড়া বাবার অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে মাকে প্রভাবিত করে বাচ্চু হুজুর নগদ ২ লাখ ৪০ হাজার টাকাসহ নিয়ে যান।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমরা তাদের সন্ধান চাই। আমরা তার শাস্তি চাই। যাতে আর কোনো পরিনাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাচ্চু হুজুরের কয়েকজন প্রতিবেশী বলেন, ‘বাচ্চুকে নিয়ে নারী কেলেঙ্কারির ঘটনা নতুন কিছু নয়, এর আগেও বেশ কয়েকবার তিনি নারী কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটিয়েছেন। বাগমারায় হামিরকুৎসা গ্রামে রয়েছে তার প্রথম স্ত্রী। সেই পরিবারে রয়েছে দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। আবার নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার রামসার কাজীপুর গ্রামে দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে দুই মেয়ে ও একটি ছেলে রয়েছে।’
তারা আরও বলেন, ‘চট্টগ্রামে তাবলিগ জামাতে গিয়ে সেখানে নারী কেলেঙ্কা