সত্যের খোঁজে আমরা
শতাব্দী ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তিনটি ফল আমলকি, হরিতকি বহেরার সমন্বয়ে ত্রিফলা তৈরি করা হয়। এগুলো আমাদের সামগ্রিক সুস্থতার জন্য কাজ করে। ত্রিফলা খাওয়ার অসংখ্য উপকারিতার মধ্যে কয়েকটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা রয়েছে। চলুন সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-
হজম ভালো রাখে
ত্রিফলা ব্যতিক্রমী পাচক বৈশিষ্ট্যের জন্য বিখ্যাত। এটি অন্ত্রের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয় এবং একটি স্বাস্থ্যকর পাচনতন্ত্র বজায় রাখে। এই তিন ফলের সংমিশ্রণ অন্ত্রকে উদ্দীপিত করে, যা অন্ত্রের মধ্য দিয়ে বর্জ্য সরানো সহজ করে তোলে। যে কারণে হজম ক্ষমতা ভালো থাকে।
ডিটক্সিফিকেশন
ত্রিফলা শরীরের জন্য প্রাকৃতিক ডিটক্সিফায়ার হিসেবে কাজ করে। এটি লিভারের ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে টক্সিন এবং ক্ষতিকারক পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে। ত্রিফলায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভারকে রক্ষা করে সর্বোত্তমভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।
কোলেস্টেরল কমায়
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ত্রিফলা খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ থাকে। এছাড়া ত্রিফলা খেলে তা ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে কিন্তু ডায়াবেটিসবিহীন লোকেদের ক্ষেত্রে নয়। তাই সুস্থতার জন্য নিয়মিত ত্রিফলা খাওয়ার অভ্যাস করুন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ত্রিফলা ভিটামিন সি এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সমৃদ্ধ উৎস, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। নিয়মিত ত্রিফলা খেলে তা শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে। এর ফলে সংক্রমণ, অসুস্থতা এবং সাধারণ সর্দি প্রতিরোধ করা সহজ হয়।
ওজন কমায়
ত্রিফলা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি বিপাক নিয়ন্ত্রণ, হজমের উন্নতি এবং শরীর থেকে অতিরিক্ত চর্বি অপসারণে সহায়তা করে। সেইসঙ্গে এর হালকা রেচক প্রভাব পাচনতন্ত্র পরিষ্কার করতে সাহায্য করতে পারে, যা আপনার ওজন কমানোর প্রচেষ্টায় সহায়তা করে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উপকারিতা
ত্রিফলা ভিটামিন সি, ফ্ল্যাভোনয়েড এবং পলিফেনলসহ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং ফ্রি র্যাডিক্যাল ক্ষতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে, যা বার্ধক্য এবং বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী রোগের সঙ্গে যুক্ত। তাই নিয়মিত ত্রিফলা খেলে সুস্থ থাকা সহজ হয়।
ত্রিফলা কীভাবে ব্যবহার করবেন
আস্ত ত্রিফলা, ত্রিফলা পাউডার, ক্যাপসুল এবং ট্যাবলেট সহ বিভিন্ন আকারে পাওয়া যায়। এটি সবার জন্য সমান পরিমাণ নাও লাগতে পারে। ব্যক্তিভেদে ত্রিফলা খাওয়ার পরিমাণ বেশি-কম হতে পারে। কতটুকু খাবেন তা জানার জন্য একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন।