কেউ এই সবজিটি পছন্দ নাও করেন, তারপরও এর উপকারিতা জা’নলে না খেয়ে পারবেন না। অবাক করা পুষ্টিগুণ রয়েছে মিষ্টি কুমড়াতে। তাই যদি কেউ এই সবজিটি না খেয়ে থাকেন তবে অনেক স্বা’স্থ্যোপকারিতা থেকে ব’ঞ্চিত হবেন।ভিটামিন এ, বি-কমপেস্নক্স, সি এবং ই, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, জিঙ্ক, ফসফরাস, কপার, ক্যারটিনয়েড এবং অন্য অ্যা’ন্টিঅক্সিডেন্টসমূহের ধারক। এছাড়াও বিটা-ক্যারোটিন সমৃদ্ধ এই সবজিটি আমাদের দেহের ক্যান্সার প্রতিরোধক কোষ গঠন করে। চলুন জে’নে নেয়া যাক এর উপকারিতাগুলো-দী’র্ঘস্থায়ী রোগের বিরু’দ্ধে ল’ড়াই করে: দে’হের অতিরিক্ত ফ্রি র্যাডিকালগুলো অক্সিডেটিভ স্ট্রেস তৈরি করতে পারে, যা হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। কুমড়া আলফা-ক্যারোটিন, বিটা ক্যারোটিন এবং বিটা-ক্রিপ্টোক্সানথিন সমৃদ্ধ একটি সবজি। এতে থাকা এসব উপাদান সমস্ত ফ্রি র্যাডিকেলগুলো আলাদা করে এবং ক্ষ’তিকারক কোষগুলো ধংস করে।চোখের যত্নে: এককাপ পরিমাণ রান্না করা মিষ্টি কুমড়া আমাদের চোখের সুস্বা’স্থ্য র’ক্ষা করতে অন্যান্য খাবার থেকে ১০০ গুণ বেশি কাজ করে। বিটাক্যারোটিন ও আলফা-ক্যারোটিনের মতো ক্যারটিনয়েডসমূহ চোখের ছানিপড়া রো’ধসহ চোখের রেটিনা কোষ র’ক্ষা করে। তাই চোখকে সচল ও সুস্থ রাখতে আপনার খাদ্য তালিকায় মিষ্টি কুমড়া যোগ করুন। চুল ও ত্বক ভালো রাখে: একটি মিষ্টি কুমড়াতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি। যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলে। সর্দি-কাশি, ঠাণ্ডা লাগা প্র’তিরোধ করতে সাহায্য করে। মিষ্টি কুমড়ায় থাকা ভিটামিন এ, সি চুল ও ত্বক ভালো রাখে। তাই চকচকে উজ্জ্বল চুল ও সুন্দর ত্বকের জন্য নিয়মিত মিষ্টি কুমড়া খেতে পারেন।ফ্রি রেডিকাল ড্যামেজের ফলে শরীরের ভালো কোষগুলো নষ্ট হতে শুরু করে এবং খা’রাপ কোষের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। সবুজ, কমলা, হলুদ রঙের সবজিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি পরিমাণে থাকে। তাই মিষ্টি কুমড়া ফ্রি রেডিকাল ড্যা’মেজ প্র’তিরোধ করতে পারে।