দেখিয়ে সহজ সরল মানুষকে মগজ ধোলাই করে জায়গা জমি বিক্রি ও ধার লোন করিয়ে বিদেশ নিয়ে যাচ্ছে।
এসব দালালরা ৩ থেকে ৪ লক্ষ বা এরও অধিক টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিমানে উঠিয়ে দেওয়ার পর থেকে আর কোন যোগাযোগই রাখেন না এমন অভিযোগ অহরহ আছে। খোজ খবর নেয়া তো দূরের কথা ফোনটা পর্যন্ত ধরেনা।
অথচ বিদেশ যাওয়ার পূর্বে এসব দালালরা
বিদেশে কর্ম রেডি আছে, থাকা খাওয়ার সু-ব্যাবস্থা আছে, সব রকম সুযোগ সুবিধা আছে, বিদেশ পৌছানোর পর আকামা করে দিবো এমন নানা
প্রতিশ্রুতি দিয়ে নানা ভাবে প্রলোভন দেখিয়ে থাকে।
ভেড়ামারা উপজেলার কাজিহাটা গ্রামের বিধবা রেহেনা খাতুন তার একমাত্র সন্তানকে জায়গা জমি বিক্রি ও
ধার, লোন করে সৌদি আরব পাঠিয়েছেন নলুয়া গ্রামের
হাসান আলী।
দেড় বছর পরিপূর্ন ডিউটি করেও তার ছেলে ঠিকঠাক মত বেতন পাচ্ছেনা, গত আট মাস কোন বেতনই পাইনি। পাসপোর্ট কেড়ে নেয়া হয়েছে, আকামা দিতে
চেয়ে ১ বছর ধরে আজ কাল দিবো বলে ঘুরাচ্ছে।
নিজের কষ্টের কথা ছেলে তার মা কে জানিয়েছেন সৌদি বসে। হাসান আলীর কঠিন শাস্তি দাবি করেছেন
রেহেনা খাতুন।
আমার আপনার আশে পাশে এমন অনেক দালাল আছে যারা মুখে বড় বড় ঝাড়ি মেরে বিদেশ নিয়ে গিয়ে অথবা পাঠিয়ে মানুষকে বিপদে ফেলছে।
এসব প্রতারক, চিটার, বাটপারের খপ্পড়ে পরবেননা।
মুখের মিষ্টি কথায় ভুলবেননা।