দিনাজপুর প্রতিনিধি
মোঃওয়াজ কুরনী
দিনাজপুরের হিলিতে ইফতারের আগে-পরে জমে উঠতে শুরু করেছে ঈদের কেনাকাটা। স্থানীয়সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে কার, মাইক্রোবাস, সিএনজিচালিত অটো নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে হিলিতে আসছেন ক্রেতারা। তবে এখন শিশুদের পোশাক বেশি কিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা বলছেন, রজমানের ১০ দিন পার হয়েছে। তাই প্রথমে ছেলে-মেয়েদের কেনাকাটা সারছেন তারা। বড়দের কেনাকাটা পরে দেখা যাবে। আর বিক্রেতারা বলছেন, প্রতিবছর ঈদের সময় তাদের দোকানে বেশ ভালো বিক্রি হয়। সবেমাত্র রমজানের ১৩ দিন পার হয়েছে। ক্রেতারা আসছেন ছোট বাচ্চাদের জন্য পোশাক কিনতে। ধীরে ধীরে বিক্রি আরও বাড়বে বলে আশা করছেন তারা।
রবিবার (২৪) মার্চ) হিলি বাজারের ঈদের কেনাকাটা করতে বগুড়া থেকে মাইক্রো নিয়ে এসেছেন মো. শফিউল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আমরা পরিবারসহ বগুড়া থেকে হিলিতে এসেছি ঈদের কেনাকাটা করতে। ছোট ও বড়দের জন্য তৈরি পোশাক কিনবো। বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখছি। পছন্দ হলে কিনবো। সঙ্গে মসলাপতির কেনাকাটাও করার ইচ্ছে আছে।’
আরেক ক্রেতা মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি এসেছেন জয়পুরহাট থেকে। সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আজ রমজানের ১২ দিন। বিকেলে হিলিতে এসেছি। বাচ্চাদের জন্য ঈদের তৈরি পোশাক কিনতে। আগে বাচ্চাদের কিনবো। পরে বড়দের দেখা যাবে। প্রয়োজন হলে আরও একদিন আসবো। বিভিন্ন দোকানে দেখছি। দামেদরে মিলে গেলে কিনে নেবো।’
হিলি বাজারের লাবণ্য ফ্যাশনের মালিক মো, আনারুল ইসলাম বলেন, ‘এখনো পুরোপুরি কেনাকাটা শুরু হয়নি। সবেমাত্র রোজার( ১৩) দিন পার হয়েছে। এখন যারা আসছেন তারা মূলত বাচ্চাদের জন্য কেনাকাটা করছেন। ধীরে ধীরে বিক্রি আরও বাড়বে।’
আনারুল ইসলাম আরও বলেন, ‘দুই ঈদ আর পূজার সময় যা বিক্রি হয়। তারপর তো অনেকটা অলস সময় পার করতে হয়। ২০ রোজার পর কেনাকাটা বাড়তে পারে।’