দিনাজপুর প্রতিনিধি
মোঃওয়াজ কুরনী
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি হচ্ছে গ্রীষ্মকালিন সবজি সজনে ডাটা। দেশের বাজারে চাহিদা থাকায় এবং দেশীয় সজনে ডাটা না ওঠায় ভারত থেকে আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আমদানিকৃত এই সবজিটি ঢাকা, চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্নস্থানে সরবরাহ হচ্ছে। আসন্ন রমজানে চাহিদা আরো বাড়বে বলে জানান আমদানিকারকরা।
প্রতি মেট্রিকটন আমদানিতে ১৫০ মার্কিন ডলার এবং কেজিতে ২০ টাকা হারে শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে। বন্দরের পাইকারি পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়।
বগুড়া পাইকার লতিব হোসেন বলেন, ভারত থেকে আমদানি হওয়া সজনে ডাটা মান ভালো হওয়ায় এর চাহিদা বাড়ছে। আমি বন্দর থেকে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে কিনে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে থাকি।
মের্সাস রহমান টের্ডাস এর প্রতিনিধি মাহাবুব হোসেন জানান, গ্রীষ্মকালিন সবজি সজনে দেশের বাজারে আসতে এখনো অন্তত এক মাস সময় লাগবে। তাছাড়া ভারতীয় সজনে ডাটার মান ভালো হওয়ায় এর চাহিদা দেশ জুড়ে রয়েছে। সেকথা ভেবেই ভারত থেকে চলতি মাসের ১৩ তারিখে প্রথম সজনে ডাটা আমদানি করা হয়। এরপর চাহিদা বেশ ভালো থাকায় নিয়মিত সজনে ডাটা আমদানি করা হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ হারুন বলেন, দেশীয় সজনে ডাটা এখনো বাজারে আসেনি। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে সজনে ডাটার চাহিদা থাকায় ভারত থেকে আমদানি করা হচ্ছে। এসব সজনে ডাটা ১৫০ মার্কিন ডলারে আমদানি করা হচ্ছে। আর বন্দরে পাইকারী প্রকারভেদে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের জনংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক প্রতাব জানান, যেহেতু সজনে একটি কাাঁচা পন্য তাই আমদানিকৃত এই পণ্যটি যেন পচে না যায় সেজন্য দ্রুত পরিক্ষণ ও শুল্কায়ন করা হচ্ছে।
হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের তথ্য মতে, চলতি মাসের ১৩ তারিখ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২৭ টি ভারতীয় ট্রাকে ২৮৫ টন সজনে ডাটা আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে। যা থেকে রাজস্ব আহরণ হয়েছে ৫২ লাখ টাকা।