সত্যের খোঁজে আমরা
দিনাজপুর প্রতিনিধি
মোঃওয়াজ কুরনী
দিনাজপুরের হিলিতে রোজা শুরুর পর থেকে কলা চাহিদা বেড়েছে। ক্রেতারা বলছেন, বেড়েছে দামও। প্রতিহালিতে দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। ৩০ টাকা হালির অনুপম কলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা হালি দরে। মালভোগ কলার দাম বেড়েছে হালিতে ১০ টাকা। সাগর ও চিনিচাম্পা কলার দাম প্রতি হালিতে বেড়েছে ৫ টাকা করে। ২০ টাকা হালির কলা বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা হালি দরে। ক্রেতারা বলছেন, রমজান মাসে অনেকে ইফতারি ও সেহরিতে কলা খান। তাই দাম বেশি হলেও কিনতে হচ্ছে। বিক্রেতরা বলছেন, আগের চেয়ে বর্তমানে মোকামে কলার দাম বেড়েছে। তাই তাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
শুক্রবার (২২ মার্চ) হিলি বাজারে কলা কিনতে আসেন পালপাড়া গ্রামের রানা মিয়া। তিনি বলেন, ‘আমি বাজারে ইফতারির জন্য কলা কিনতে এসেছি। প্রতিদিনই ইফতারে কলার আইটেম রাখি। তাই আজও কলা কিনতে বাজারে আসা। কিন্তু কলার দাম রমজানের আগের চেয়ে বেড়েছে। ৩০ টাকার হালির অনুপম কলা কিনতে হচ্ছে ৪০ টাকা হালি দরে। মালভোগ কলারও একই অবস্থা।’
আরেক ক্রেতা মো. ফেরদৌস রহমান বলেন, ‘আমি কলা কিনতে এসেছি সেহরির জন্য। সেহরিতে দুধ দিয়ে ভাত খাওয়ার সময় কলা মিশিয়ে খাই। আমি সাধারণত কম দামের চিনিচাম্পা কলা কিনি। কিন্তু সেই কলার দামও বেড়েছে হালিতে ৫ টাকা। ২০ টাকা হালির কলা বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা হালি দরে। বাধ্য হয়ে কিনতে হচ্ছে।’
হিলি বাজারের সকালে ঘুরে দেখা যায় কলা বিক্রেতরা নেপাল চন্দ্র বলেন, ‘ভালো মানের কলা পাওয়ায় মুশকিল। এখানে তো আর কলার চাষ হয় না। বগুড়ার শিবগঞ্জ, জয়পুরহাটের আক্কেলপুর, জামালগঞ্জ থেকে কলা আনতে হয়। কিন্তু সেখানেই দাম বেশি। এরপর আছে পরিবহন খরচ। সবকিছুই বেড়েছে।’
নেপাল আরও বলেন, ‘অনুপম কলার হালি আগে মোকামে ছিল ২৫ টাকা । খরচ দিয়ে ২৬ থেকে ২৭ টাকা পড়তো। ৩০ টাকা হালি বিক্রি করতাম। আর এখন মোকামেই প্রতিহালি কিনতে হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা পর্যন্ত। তা হলে ৪০ টাকা হালি বিক্রি না করে উপায় নেই। এভাবে সব ধরনের কলার দামই বেড়েছে।’