দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধ
মোঃওয়াজ কুরনী
দিনাজপুরের হিলিতে দুই দিনের ব্যবধানে কমেছে দেশি ও ভারত থেকে আমদানিকৃত কাঁচা মরিচের দাম। কেজিপ্রতি দেশি কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায় এবং ভারত থেকে আমদানিকৃত কাঁচা মরিচ কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা দরে। ভারত থেকে বেশি আমদানি হওয়ার কারণে দাম কমেছে বলছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে এক দিনের ব্যবধানে বেড়েছে ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম। কেজিপ্রতি ৭ টাকা বেড়ে বর্তমানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা দরে। যা গতকালকে বিক্রি হয়েছিল ৩৩ টাকা দরে।
গুগল নিউজে ফলো করুন আরটিভি অনলাইন
শুক্রবার (১১ আগস্ট) দুপুরে হিলি বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়। চাহিদার তুলনায় কম আমদানি হওয়ার কারণে দাম বেড়েছে বলছেন ব্যবসায়ীরা। হঠাৎ করে দাম বৃদ্ধির কারণে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা মাজহারুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গতকালকেই পেঁয়াজ কিনলাম ৩৩ টাকা কেজি দরে। আগামীকাল বাসাতে অনুষ্ঠান আছে যার জন্য পেঁয়াজ কিনতে এসে দেখি কেজিপ্রতি ৭ টাকা দাম বেশি। এক দিনের ব্যবধানে এতো দাম বেশি কেন। উপজেলা প্রশাসন যদি নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করতেন তাহলে এমনটা হতো না। এই জন্য জরুরিভাবে বাজার মনিটরিংয়ের দাবি করেন তিনি।
হিলি বাজারে কাঁচামরিচ কিনতে আসা আবু সায়েম বলেন, দেশের বাজারে প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের দামই বেশি। কাঁচা মরিচের বাজারে তো আগুন সবসময় লেগেই আছে। বর্তমানে কেজিপ্রতি দেশি কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকা এবং ভারতীয়টা ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম বেশি হওয়ার কারণে আধা কেজি কাঁচা মরিচ কিনলাম। কেজিপ্রতি ৫০ টাকা হলে আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতাদের অনেক সুবিধা হতো।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাহাবুল ইসলাম বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে আমদানিকারকরা বেশি দামে বিক্রি করছে। আমরা খুচরা ব্যবসায়ী বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছি। বর্তমানে কেজিপ্রতি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রেতা বিপ্লব শেখ বলেন, গত দুই দিনের তুলনায় কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা কমেছে। দেশি কাঁচা মরিচ কেজিপ্রতি ৮০ টাকা কমে ১৬০ টাকায় এবং ভারতীয় আমদানি করা কাঁচা মরিচ ১৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বন্যার কারণে বেশ কিছু স্থানে কাঁচা মরিচের উৎপাদন নষ্ট হয়ে গেছে। যার জন্য মোকামগুলোতে সরবরাহ কমে গেছে। তবে ভারত থেকে আমদানি হওয়ার কারণে দাম কমতে শুরু করেছে।