অভিযোগ ওষুধ প্রয়োগ করেও কোন কাজ হচ্ছে না। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, পচনসহ বিভিন্ন রোগ
প্রতিরোধে নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন তারা।
উপজেলার ঘাসুরিয়া ও মাধবপাড়া গ্রাম দুটি পলি (বালু) এলাকায় হওয়ায় অন্য ফসলের চেয়ে পান পাতার বরজ লাভজনক। তাই ওই দুটি গ্রামে গড়ে উঠেছে দেড় শতাধিক পানবরজ। ওই এলাকার জমি পানপাতা চাষের উপযোগী হওয়ায় চাষীরা পানবরজের প্রতি আগ্রহী।
মাধবপাড়া গ্রামের পানবরজ মালিক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, চলতি বছর ফলন ভালো হওয়ার পরেও ভালো দাম পাচ্ছেনা চাষীরা। তবে কিছুদিন থেকে পানবরজে পচন রোগ দেখা দিয়েছে। পচন রোগটা সংক্রামক রোগের মতো। যে বরজে দেখা দিচ্ছে, কয়েকদিনের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ছে গোটা বরজে। এই রোগ প্রতিরোধ করা না গেলে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হতে হবে পানচাষীদের।
ঘাসুরিয়া গ্রামের পানবরজ মালিক নজরুল ইসলাম বলেন, এবার বৃষ্টিপাত তুলনামূলক কম হওয়ার কারণে পানের ফলন ভালো হয়েছে । তবে আতঙ্কে রয়েছে পচন রোগ নিয়ে। ইতিমধ্যেই অনেক বরজেই পচন রোগ দেখা দিয়েছে। পচন ধরেছে পানপাতায়। পানবরজে ওষুধ প্রয়োগ করেও কোন কাজ হচ্ছে না। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার ভাজ পড়েছে পানচাষীদের কাপলে।
হাকিমপুর উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার মোছা. আরজেনা বেগম বলেন, হাকিমপুর উপজেলার খট্রামাধবপাড়া ইউনিয়নের ঘাসুরিয়া ও মাধবপাড়া এলাকায় ৪০ হেক্টর জমিতে ১৫৬টি পানের বরজ রয়েছে। সম্প্রতি কিছু পানবরজে পচন রোগ দেখা দিয়েছে। পানবরজগুলোতে পচন রোগ প্রতিরোধে ছত্রাকনাশক অটোস্কীন, ম্যালছার, অক্সিক্লোবাইট ওষুধ স্প্রে করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে
দিনাজপুর হাকিমপুর থানা প্রতিনিধি মো:ওয়াজ কুরনী