মোঃওয়াজ কুরনী
দিনাজপুর প্রতিনিধি
হিলি: সরকারি প্রণোদনায় সীমান্তবর্তী উপজেলা হিলিতে বেড়েছে সরিষার চাষ। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবার ভালো ফলনের পাশাপাশি দাম ভালো পাওয়ার দাবি জানান কৃষকেরা। এদিকে সরিষার আবাদ বাড়াতে স্যার বীজসহ বিভিন্ন প্রণোদনা এবং পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান কৃষি অফিস।
রবিবার (৩১ডিসেম্বর) হাকিমপুর উপজেলার মাঠগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, সারা মাঠজুরে যেন হলুদের সমারোহ। কোথাও একটুকু জমি পড়ে থাকতে দেখা যায়নি। সরিষা চাষ একটি বাড়তি আবাদ এবং এর খরচ কম এবং অল্প খরচে এটির ফলন পাওয়া যায় তাই সবাই এটি আবাদ করতে ঝুঁকছে।
চেংগ্রাম গ্রামের ইয়াকুব আলী বলেন, আমি এইবার ৫ বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছি। সরিষা আবাদ একটি অতিরিক্ত আবাদ অল্প খরচে সল্প সময়ের মধ্যে আসে তাই আমি সরিষা চাষ করেছি। তাছাড়া সরকারিভাবে স্যার ও বিজ পেয়েছি। তাই বেশি করে লাগিয়েছি।
নওপাড়া গ্রামের রশিদুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সয়াবিন তেলের যে দাম তাতে আমাদের তেল কিনতে কিনতে বেসামাল হয়ে যাচ্ছে তাই আমি এই বার ২ বিঘা সরিষা আবাদ করেছি। এখান থেকে যা আসবে তা দিয়ে বাড়িতে তেল খাব এবং সরিষা বিক্রি করবো।
বৈগ্রাম গ্রামের আফিল উদ্দিন বলেন, আমার জমিগুলো আগে আমন ধান কাটার পর পড়ে থাকতো কিন্তু এইবার আমি সরিষা চাষ করেছি। এটি একটি বাড়তি ফষল এই ফসলের টাকা দিয়ে আমি বুরো ধান আবাদ করবো। সরিষার গাছ মোটামুটি ভালো হয়েছে ফুলও ভালো ধরেছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ভালো ফলন পাব ইনশায়াল্লাাহ। তবে স্যার কিটনাশকের যে দাম তাতে আমাদের সরিষার দাম ভালো পাইনা। সরিষার দামটা যদি বেশি পাওয়া যেত আর সরকার স্যারের দামটা যদি কমাতো তাহলে আমাদের কৃষকের জন্য অনেক ভালো হতো।
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মোসাঃ আরজেরনা বেগম বলেন,হাকিমপুর উপজেলায় এবার সরিষার লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ২৯ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে। তবে ৩ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে ৮০ হেক্টর জমিতে বেশি। উপজেলায় সরিষার আবাদ ভালো হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে ফলন ভালো পাবে কৃষকেরা এবং দামও ভালো পাবে।