দ্বিতীয় দিনেও হিলিতে শিক্ষকদের ক্লাস বর্জন ও শ্রেণিকক্ষে তালা

দ্বিতীয় দিনেও হিলিতে শিক্ষকদের ক্লাস বর্জন ও শ্রেণিকক্ষে তালা

দিনাজপুর হাকিমপুর প্রতিনিধি
মোঃওয়াজ কুরনী

কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক দিনাজপুরের হাকিমপুর হিলিতে দ্বিতীয় দিনের মতো চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে মাধ্যমিক পর্যায়ের বেসরকারি স্কুল শিক্ষকগণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস বর্জন করায় শ্রেণি কক্ষে তালা ঝুলতে দেখা গেছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

১৭ জুলাই, সোমবার সাড়ে দশটায় উপজেলার বাওনা দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ে গিয়ে সরজমিনে দেখা যায়, জাতীয় পতাকা লাঠির মাথায় বাতাসে দোল খাচ্ছে। খোলা রয়েছে প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষকদের অফিস রুম। আন্দোলনের কারণে শ্রেণিকক্ষে ঝুলছে তালা।

বাওনা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক এনামুল হক জানান, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির দিকনির্দেশনা ও গতকাল উপজেলা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক আজ দ্বিতীয় দিনের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দাপ্তরিক কাজের জন্য অফিস খোলা থাকলেও শ্রেণির পাঠদান ও শ্রেণি কক্ষ বন্ধ রয়েছে। আমাদের এক দফা এক দাবি। অতিদ্রুত মাধ্যমিক পর্যায়ে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল) জাতীয়করণ করতে হবে। আমরা জানি আমাদের আন্দোলনের কারণে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। পরবর্তীতে আমরা অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে দিবো।

বাওনা হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী সানজিদা ও ইশরাত জাহান বলেন, সারা দেশে আমাদের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন চলছে। তাই গতকাল ১৬ জুলাই দুপুরের পরে থেকে শিক্ষকরা ক্লাস বর্জন করেছেন এবং আজ শ্রেণি কক্ষে তালা ঝুলছে। আমরা স্কুলে এসে প্রাইভেট পড়ে বাসায় ফিরিয়ে যাচ্ছি। আমার কবে স্যারদের আন্দোলন শেষ হবে। আর আমরা আবার আমাদের সেই আনন্দময় ক্লাসে ফিরে যাবো।

শিক্ষক নেতা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, দেশে যত শিক্ষার্থী পড়াশুনা করে, তার বেশিরভাগ বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় পড়েন। কিন্তু সেই বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরাই অবহেলিত। তাই অতিদ্রুত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করতে হবে। যদি এই দাবি মানা না হয় আগামীতে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক লাগাতার কর্মসূচির পালন করা হবে।

উপজেলা শিক্ষক সমিতির নেতা গোলাম মোস্তফা কামাল বলেন, আমাদের হাকিমপুর উপজেলার ১৮টি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল) এর প্রধান শিক্ষকগণ গতকাল ১৬ জুলাই আলোচনা সভায় ক্লাস বর্জন ও শ্রেণি কক্ষে তালা ঝুলানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় আজ দ্বিতীয় দিনের উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস বর্জন ও শ্রেণি কক্ষে তালা ঝুলছে। সেই সাথে উপজেলার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল) থেকে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক দুই জন ঢাকার কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণের আজ রাতে ঢাকায় যাচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *