সত্যের খোঁজে আমরা
নবী প্রেমের প্রদীপ্ত শিখা কোটি কোটি ইনসানের হৃদয়ে যিনি জ্বালিয়েছেন বাংলাদেশের প্রতিটি জায়গায় তথা বিশ্বের বহু দেশে তিনিই মাওলা শফি ।
তরীকায়ে মাইজভাণ্ডারীয়ার অন্যতম প্রচারক, রুপক, নিশান বরদার হয়ে যিনি সর্ব প্রথম সারা বিশ্বব্যাপী তরীকায়ে মাইজভাণ্ডারীয়ার মাধ্যমে কোরআন-সুন্নাহের বানী প্রচার করেছেন তিনি হলেন মুর্শিদ শফি বাবাজান ।
মায়ানমার, ভারত হয়ে ইউরোপ, আফ্রিকা, আমেরিকায় তথা যার পদদুলিতে সারা বিশ্বব্যাপী তরীকায়ে মাইজভাণ্ডারীয়ার ব্যাপক বিস্তৃতি লক্ষ্য কোরা যায় তিনিই জগতগুরু শফি ।
যার নুরানী জবানের বয়ানে কোটি কোটি ভক্ত, মুরিদ, আশেকান, জায়েরীন খোদা প্রাপ্তির চির মুক্তির পথ পেয়েছেন, তিনিই প্রেমের গুরু মাইজভাণ্ডারী শফি বাবা ধন।।
তিনিই সেই মহান আওলাদে রাছূল যেই গাউছূল আজম হজরত কেবলার ১০ মাঘের সম্মানে নিজের ওরশ শরীফ বাদ দিয়ে তৃষিত ভক্ত, আশেকাণদের দান করেছেন মহান ৭ই ফাল্গুন তিনিই আমাদের দয়াল শফি বাবাজান ।
খোদায়ী নূরের প্রকাশঃস্থল, ইউসূফে ছানী গাউছূল আজম দয়াল বাবাভাণ্ডারীর নয়নের তারা, কলিজার টুকরা যাকে ঊম্মাতে মূহাম্মাদীর "শাফি" বলে "শফিউল বশর" এই নূরানী নামে নামকরণ করেছেন তিনিই শফিউল বশর মাইজভাণ্ডারী, পাপী তাপীর পাড়ের কাণ্ডারি ।
যার সম্মানে যার প্রেমে হজরত ছৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ) ৭ই ফাল্গুনের পবিত্র দিনে মাইজভাণ্ডার শরীফে প্রকাশ্যেই লক্ষ লক্ষ ভক্তগণের সম্মুখে যাকে অবনত মস্তকে সজিদা করতেন তিনিই কোটি কোটি ভক্ত গণের প্রাণের রাজন শফি বাবাজান ।
যার ইমামতিতে মাইজভাণ্ডার শরীফের শাহী ময়দানে হজরত ছৈয়দ দেলাওয়ার হোসাইন মাইজভাণ্ডারী (কঃ)সহ তৎসময়কার আওলাদে পাকগণ ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করতেন তিনিই সর্বজন শ্রদ্ধেয় সূফীরাজ শফি বাবাজান ।
আলেম, ওলামা, পীর বুজুর্গগণ যার পাক হূজরায় ছূটে যেতেন কোরআন- হাদিসের জটিল কঠিন মাসলা-মাসায়েলের উত্তর জানবার জন্য তিনিই হলেন সাহেবে কোরআন অর্থাৎ জীবীত কোরআন শরীফ শফি মাওলা ।
পাক মাইজভাণ্ডার শরীফ থেকে সর্ব প্রথম জাহেরা হজ্জব্রত পালন করে সকলকে শিক্ষা দিয়েছেন কোরআন- সূণ্ণাহ ভিত্তিক জীবন ব্যবস্থা গঠনের তিনিই কোরআন-সুন্নাহর অন্যতম ধারক ও বাহক, প্রচারক আয়নায়ে গাউসুল আজম দয়াল বাবাভাণ্ডারী (কঃ), গাউসে জামান শফি বাবাজান(কঃ) ।
এই মহান জাতে পাক, যার কোটি কোটি ভক্তগণের কাণ্ডারি হিসেবে তাঁরই ঔরসজাত শাহজাদা, তাঁর নয়নের মণি মুজিব বাবাজানের জিম্মায় সোপর্দ করে "ভাণ্ডারের চাবি মুজিবকে দিয়ে গেলাম বলে" মুজিব বাবার বুকের মাঝে তাঁর পবিত্র কোলে জাহেরা পর্দা গ্রহণ করেন।
যার "আমার যত আশা" কে বরণ করে প্রতি উত্তরে মুজিব বাবাজান "কথা দিলাম" অমর প্রেমের কবিতা দুটি অনন্তকাল স্মরণ মঞ্চে বাজাবে প্রেমের বীণ, যার পুস্তক "যুগের আলো ও বুকের খুন" এলমে তাসাউফের অমর মহাকাব্য, অনবধ্য গজলের রচয়িতা সুর সম্রাট, প্রেমের মহারাজ শফি বাবাজান।
তিনিই সেই দয়াল যিনি নিজ হাতে ৭ই ফাল্গুনের পূর্ব দিনে নিজ হাতে তাঁর পরম আদরের নাতী নুর বাবাজানকে গোসল শরীফ দিতেন, এবং তাঁরই পাক জবানে নুর বাবাজানকে "নুর বাবা" নামে সম্বোধন করে মাইজভাণ্ডারী তরিকার সুযোগ্য উত্তরসুরি নির্ধারণ করে রেখে গিয়েছেন ।
আজি আপনার শুভ আগমনের মহা আনন্দের মহান ৭ই ফাল্গুনে আপনার নুরানী চরণ যুগলে ভক্তি নিবেদন করছি, আমাদের এই প্রেমের অর্ঘ্য ভক্ত, গুলাম আশেক্কুলের নাজরানা হিশেবে কবুল করে নাওগো ইয়া শফি মাওলা, এই আরজি আপনার নুরী রাঙা চরণতলে।