নড়াইলে রেকর্ডীও জমিতে জোরপূর্বক সরকারী রাস্তা নির্মানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন!

নড়াইলে রেকর্ডীও জমিতে জোরপূর্বক সরকারী রাস্তা নির্মানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন!


ভিডিও চিত্রঃমোঃ তরিকুল ইসলাম।

নড়াইলে কালিয়া উপজেলার নড়াগাতী থানার বাঐসোনা ইউনিয়নের দক্ষিণ ডুমুরিয়া গ্রামে রেকর্ডীও জমি জবরদখল করে পাঁকা রাস্তা নির্মানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে ভূক্তভোগী মোহাম্মাদ শেখসহ গ্রামবাসীরা। ২৮ জুন (মঙ্গলবার) সকাল ১০ টায় দক্ষিন ডুমুরীয়া গ্রামের নিজ বাড়ীর সামনে প্রায় অর্ধশত নারী পুরুষ নিয়ে এ মানববন্ধন করেন তারা। মোহাম্মাদ শেখ ওই গ্রামের মৃত আফছার উদ্দিন শেখের ছেলে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মৃত আক্কাস আলী শেখ এর ছেলে আব্দুল মান্নান শেখ (৭৫) তার নিজ বাড়ীতে প্রবেশের জন্য জেলা পরিষদ থেকে ৭১ মিটার সিসি ঢালাই রাস্তার কাজ অনুমোদন করালে নড়াইলে ঠিকাদার বিকাশপুরী বিকাশপুরী ট্রেডার্স কাজটি পায়। অতঃপর ওই কাজটি সাব কন্ট্রাকটর এনায়েতের নিকট বিক্রি করে দেন। নির্মানাধীন রাস্তা প্রভাবশালী প্রতিবেশী মান্নান শেখের প্ররোচনায় তার বাস্ত ভিটার ১৩৬৬ নং আরএস খতিয়ানের ৭০১১ নং হাল দাগের ৩২ শতক জমির মধ্য দিয়ে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মানে বাঁধা দিলে মান্নান শেখ তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এরেষ্ট করার ভয় দেখিয়ে কাজটি করিয়ে নিয়েছেন বলে তারা জানান। এছাড়া এ বিষয়ে ইউএনও কালিয়াকে জানিয়েও কোন ফল হয়নি বরং সরকারি কাজে বাঁধা সৃষ্টি করলে ৬ মাসের জেল দেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন তিনি। কোন আপস ছাড়া রেকর্ডীও জমির ওপর দিয়ে সরকারি রাস্তা কোন নিয়মে হতে পারে তারা জানতে চান এবং ব্যাক্তিগত রাস্তা ভেঙ্গে তাদের রেকর্ডীও জায়গা অবমুক্ত করার দাবি জানান তারা। এ সময় বক্তব্য রাখেন, ভূক্তভোগী মোহাম্মাদ শেখ, তার ভাই আহম্মদ আলী ও তার দুই ছেলেসহ প্রতিবেশী আরো অনেকে।

এ বিষয়ে সাব-কন্ট্রাকটর এনায়েত জানান, রেকর্ডীও মালিক বাঁধা দেওয়ায় কাজ বন্ধ ছিল। কিন্তু ইউএনও কালিয়া মোঃ আরিফুল ইসলাম সরেজমিনে এসে কাজটি পুনরায় চালু করে গেছেন।

এ বিষয়ে বাঐসোনা ইউপির চেয়াম্যা চেয়ারম্যান এস এম চুন্নু বলেন, এ বিষয়েইউএনও স্যারের নির্দেশনা মতে ওসি নড়াগাতী আমাকে মিমাংসার জন্য বলেছিলেন। কিন্তু মান্নান শেখ তাতে সম্মতি জ্ঞাপন করেননি। বরং ইউএনও মহোদয়কে ভুল তথ্য দিয়ে আমার ওপর বিষেয়ে তুলেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে সামান্য পরিমান জায়গা নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়েছে। আর রাস্তাটি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে যাওয়ার জন্য নির্মান হয়েছে। তাছাড়া আশেপাশের অনেকগুলো পরিবার এ রাস্তাটির উপকার ভোগ করবে বলে তিনি জানান। এখন বিষয়টি মিমাংসার জন্য স্থাণীয় প্রশাসন ও চেয়ারম্যানকে দিয়ে সমাধান করতে পারে নতুবা আইনের আশ্রয় নিলে বিজ্ঞ আদালত যে রায় দিবে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *