বিলকিছ আক্তার রুবি ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি
৪ ঠা মার্চ ২০২৩ ইং তারিখ শনিবার সকাল ১১ টা’য় বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট পার্টি-বিএইচপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির এক সভায় পার্টির পুরানা পল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনিুষ্ঠিত হয়। বিএইচপি চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান এর সভাপতিত্বে সভায় চলমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণের জন্য বিএইচপি কর্তৃক প্রনীত জাতীয় সংসদের নির্বাচনকালীন নির্বাচিত ‘সর্বদলীয় সরকার’ এর রূপরেখা জনসমর্থনের জন্য জনসম্মুখে তুলে ধরার প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। বিএনপির পদযাত্রা, আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ এবং বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। খাদ্যপণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয়।
বিএইচপি চেয়ারম্যান প্রফেসর আসাদুজ্জামান বলেন, কোন ব্যক্তি নিরপেক্ষ নয়। প্রত্যেকেই প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতি না করলেও পরোক্ষভাবে কোন না কোন দল কিংবা মতাদর্শকে সমর্থন করেন। আর অনির্বিাচিত সরকার ব্যবস্থা সংবিধানের মূল ভিত্তি গণতন্ত্রের পরিপন্থী। এমতাবস্থায়, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দরকার নির্বাচনকালীন ‘সর্বদলীয় সরকার’। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সকল দল থেকে প্রার্থী দিয়ে জাতীয় সংসদের সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত করে সর্বদলীয় সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকটের উত্তরণ ঘটাতে হবে। সকল দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হবে।
বিএইচপি মহাসচিব ড. সুফি সাগর সামস্ বলেন, বিএনপি বলছে, বিগত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে শান্তিপূর্ণভাবে তারা তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করে আসছেন। কোথাও শান্তিভঙ্গ হয়নি। কিন্তু আওয়ামী লীগ কেন হঠাৎ বিএনপির কর্মসূচির দিনসমূহে শান্তি বজায় রাখার নামে অশান্তি সমাবেশ শুরু করল? আওয়ামী লীগের এই শান্তি সমাবেশ শান্তি বজায় রাখার জন্য নয়, বরং তারা পায়ে পরে সংঘাত-সংঘর্ষে লিপ্ত হতে চায়, ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়, পুনরায় ক্ষমতাসীন হতে চায়। এজন্য বিএনপির এই অহিংস আন্দোলনের পদযাত্রা কর্মসূচিকে আওয়ামী লীগ ‘মরন যাত্রা’ বলে অভিহিত করেছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি কেন জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছে? এই বিষয়ে গভীরভাবে বিশ্লেষণ করলে প্রতীয়মান হয় যে, নির্বাচনের পূর্বে ক্রমান্বয়ে জাতীয় পার্টি, মহাজোটের সদস্য এবং স্বতন্ত্র সদস্যবৃন্দও পদত্যাগ করবেন। কারণ, তারা বিগত প্রায় পাঁচ বছরে সরকারের সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তাদের মনে জমেছে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ। পদত্যাগের মধ্য দিয়ে তারা সেই ক্ষোভের বহি:প্রকাশ ঘটাবেন। জাতীয় সংসদ এবং নির্বাচনের মাঠে আওয়ামী লীগকে তারা একা করে দেবেন। ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন বয়কট করার মধ্য দিয়ে তারা দেশকে একটি সাংবিধানিক সংকটের মধ্যে ফেলে দেবেন, যাতে ১৯৯৬ সালে বেগম খালেদা জিয়ার মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বাধ্য হন নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরায় বাস্তবায়ন করতে।সভায় বক্তব্য রাখেন, বিএইচপির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি, দেওয়ান শামছুল আবেদীন, ভাইস চেয়ারম্যান, নাসরিন আক্তার, খন্দকার নাজমুল হক অপু, গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, এড. মকবুল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক, মোঃ ইব্রাহিম খলিল বাদল, মোঃ রেজাউল করিম, সৈয়দ মনজুর আলী, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক, ফরিদ আহমেদ, দফতর সম্পাদক, মোঃ খুরশীদ আলম সরকার, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক, মোঃ হুমায়ুন কবির, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নান, নির্বাহী সদস্য, মোঃ আইয়ুব আলী, মোঃ হুমায়ুন কবীর স্বপন, মোঃ এনামুল হক খান প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।