সত্যের খোঁজে আমরা
দিনাজপুর প্রতিনিধি
মোঃওয়াজ কুরনী
হরতাল অবরোধের মাঝেও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত- বাংলাদেশের মধ্যে পণ্য আমদানি রপ্তানি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ হরতাল অবরোধের কারনে তাদের পন্যের দাম ও গাড়ী ভাড়া বেশি গুনতে হচ্ছে। এদিকে প্রশাসন বলছেন, দেশের বিভিন্ন পান্তে বাস ও পন্যবাহী ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে দুবৃত্বরা তাই হিলিতে ভারত থেকে আমদানি করা পন্য খালাসের পর পন্যবাহী ট্রাকগুলো বিভিন্ন জায়গায় পৌছাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেওয়া হচ্ছে।
কয়েকজন ব্যবসায়ীরা বলেন, হরতাল অবরোধের মধ্যেও হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত বাংলাদেশের মধ্যে পন্য আমদানি রপ্তানি স্বাভাবিক রয়েছে। আমদানি করা পন্য প্রতিদিন পুলিশ বিজিবি ও র্যাব নিরাপত্তায় ট্রাকে করে বিভিন্ন জায়গায় পৌছে দিচ্ছে প্রশাসন। তবে অবরোধ ও হরতালের সংঙ্কা পুরোপুরি কাটেনি চালক ও মালিকদের মাঝে। একারনে ট্রাক সংকট। এই অযুহাতে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাদের।
ক্যাম্প কোম্পানির অধিনায়ক র্যাব-৫ মেজর শেখ সাদিক বলেন, হিলি স্থলবন্দর থেকে পণ্য নিয়ে বের হওয়ার পর ট্রাকগুলোকে পাঁচবিবি - জয়পুরহাট বাসট্যান্ডে নিদিষ্ট একটা স্থানে রেখে সিরিয়াল করা হচ্ছে। পরে নিরাপত্তা দিয়ে এক থানা থেকে অন্য থানায় চলে যাচ্ছে। এভাবে হিলি থেকে বগুড়া পর্যন্ত নিরাপত্তা দিয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হচ্ছে। এজন্য হিলি -বিরামপুর,ঘোড়াঘাট,জয়পুরহাট, বগুড়া, এই সড়কে প্রশাসনের নজরদাড়ি বাড়ানো হয়েছে। এছাড়াও মোতায়ন রয়েছে পুলিশ, র্যাব বিজিবি ও নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট। নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে প্রতিদিন পন্যবাহী ট্রাক পৌছে দিচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টি। ট্রাকগুলো হিলি স্থলবন্দর থেকে বগুড়া পর্যন্ত পৌছাতে নিরাপত্তা দিচ্ছে র্যাব, পুলিশ ও বিজিবি।
হাকিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সায়েম মিয়া বলেন, আমাদের পুলিশ সুপারের নির্দেশ্যে আমরা প্রত্যেকদিন সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত হিলি থেকে ঘোড়াঘাট, বিরামপুর, জয়পুরহাট রাস্তায় আমাদের ফোর্স পাহারায় রেখে পন্যবাহী ট্রাকগুলো এক থানা থেকে আরেক থানায় পৌছে দেই।
কয়েকজন ট্রাক চালক বলেন, আমরা হরতাল অবরোধে প্রথম গাড়ী নিয়ে বের হতাম না, এখন প্রশাসনের এমন উদ্যোগের কারনে তারা নির্ভোয়ে গাড়ি নিয়ে যেতে পাড়ায় খুবই খুশি ।