সত্যের খোঁজে আমরা
রুবেল ভাই ভোলা জেলা
ড্যাডি’ প্রচার, সম্প্রচার ও প্রদর্শন বন্ধে আইনি নোটিশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনি নোটিশ পাঠানো বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও কুমিল্লা জজ কোর্টের আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মাযহারী।
আজ রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) ই-মেইলের মাধ্যমে ও ডাকযোগে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ বিডির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যান, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যানের কাছে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই আইনজীবী।
আইনি নোটিশে বলা হয়, সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকার সুযোগে সুকৌশলে পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে অশ্লীলতা ছড়িয়ে তাদের বিপথে নেয়ার মানসে এবং সহজে টাকা উপার্জনের জন্য একটি মহল ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছে। সম্প্রতি এই প্ল্যাটফর্মে অসংখ্য অশ্লীল ওয়েব ফিল্ম রিলিজ হয়েছে। আমাদের প্রাপ্ত তথ্য মতে এমন অসংখ্য মুভি রয়েছে। এসব প্ল্যাটফর্মের প্রায় সকল মুভিতেই কমবেশি যৌন সুড়সুড়ির দৃশ্যসহ ব্যাপকহারে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা, দেশি সংস্কৃতিবিরোধী গল্প ও দৃশ্য উপস্থাপন করা হয়।
পাফ ড্যাডি মুভিতে কোনো পজিটিভ মেসেজ ছিল না উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়েছে, প্রদর্শিত বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম নেগেটিভ মেসেজ হলো, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ককে প্রমোট করা, বিয়েতে অনুৎসাহিত করা, আধ্যাত্মিক মণীষীর চরিত্রকে অত্যন্ত বাজেভাবে হরণ করা, প্রতি মুহূর্তে যৌন সুড়সুড়ির দৃশ্য উপস্থাপন করা। এ ছাড়া ওই মুভিতে আর কোনও মেসেজ নেই। যা নতুন প্রজন্মের জন্য অশনিসংকেত। বৃহৎ স্বার্থে নিম্নোক্ত নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য আপনার হস্তক্ষেপ একান্ত কাম্য।
নোটিশে আরও বলা হয়, আগামী তিন দিনের মধ্যে পাফ ড্যাডি ওয়েব ফিল্মে প্রদর্শনী বন্ধ করা। সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠন করে তাতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পারদর্শী ব্যক্তি কমপক্ষে আইন বিষয়ে অভিজ্ঞ এবং ধর্মীয় পণ্ডিত যুক্ত করা। ওটিটি প্ল্যাটফর্মসহ ইউটিউব/ফেসবুকে অর্থাৎ অনলাইনে প্রদর্শনের জন্য নির্মিত সব ভিডিওর জন্য সেন্সর নীতিমালা প্রণয়ন করে কঠোরভাবে প্রয়োগ করা। কোনো শৈল্পিক ছোঁয়াবহির্ভূত অ’শ্লীল ইঙ্গিতবাহী সব অডিও/ভিডিও/গল্প/কার্টুন/পিকচার আপলোডের নীতিমালা প্রণয়ন করা। এসব অডিও/ভিডিও/গল্প/কার্টুন/পিকচার আপলোড করা হলে ফিল্টারিংয়ের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে দ্রুত মুছে ফেলা ও দোষীকে আইনের আওতায় আনাসহ সময়োপযোগী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।